খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে কাপ্তাই হ্রদের পানি না কমায় বিপাকে পড়েছে জলে ভাসা জমির বোরো চাষীরা। স্থানীয় কৃষকরা এ সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার দাবী জানিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহালছড়ি উপজেলা কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় কৃষি জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় বোরো চাষীরা ধান রোপন করতে পারছেন না। এখনো কেউ কেউ ধানের বীজ বপন করতে পারেননি। আর যারা বীজ বপন করেছের তাঁদের জমি এখনো ৩-৪ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত । পানি না কমায় ধানের চারার বয়স বৃদ্ধি হয়ে রোপনের সময় পার হয়ে যাচ্ছে।
মুবাছড়ি ব্লকের সিঙ্গিনালা গ্রামের কৃষক অংসাথোয়াই মারমা বলেন, ধানের চারা এভাবে নষ্ট হয়ে গেলে গরীব চাষীদের বার বার বীজ ক্রয় করারও সামর্থ থাকে না। জলে ভাসা জমিতে ঠিক সময়ে ধান রোপন করা সম্ভব না হলে কৃষকদের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী থাকে। কারণ ফলনের সময় বর্ষার পানিতে ফসল তলিয়ে গেলে কৃষকের কিছুই করার থাকে না। সারাবছর অভাব অনটনের মধ্যে কাটাতে হয়। কৃষকদের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
মুবাছড়ি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঞোলামং মারমা বলেন, মহালছড়ি উপজেলায় প্রায় ২’শ হেক্টরের অধিক জমি এখনো কাপ্তাই হ্রদের পানিতে নিমজ্জিত। কাপ্তাই হ্রদের পানি কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে কৃষি বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট না থাকায় কৃষকদের সমস্যার সমাধান দেওয়া সম্ভব হয় না। তারপরও এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মহালছড়ির জলেভাসা জমির কৃষকদের দুর্দ্দশার কথা বিবেচনা করে কৃষি অফিস থেকে স্বল্প মেয়াদি বীজ ধান বিআর ১৪ বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। কৃষকেরা এ বীজ ব্যবহারে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.