বান্দরবানের লামা উপজেলার রেংয়েন ম্রোপাড়ায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনা তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর নেতৃত্বে এসময় পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) জেলা ও দায়রা জজ আশরাফুল আলম, উপপরিচালক মোহাম্মদ গাজী সালাউদ্দিন ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। এসময় তাঁরা রেংয়েন ম্রোপাড়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও স্থানীয়দের কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে কংজরী চৌধুরী বলেন, ম্রোপাড়ায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনাটি যা বাস্তবতা সেটা সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে। আক্রমণকারীরা অসুস্থ মানসিকতার ছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আক্রমণ করেছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। ম্রোদের টাকা-পয়সা নিয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রধান সমস্যা ভূমি। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তিতে কমিশন গঠন হলেও এটি ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। ভূমি কমিশন কাজ করতে পারলে সমস্যা সৃষ্টি হতো না। পার্বত্য ভূমি কমিশন বৈঠক করলেও একটি পক্ষ হরতাল ডাকে। কেন ডাকে তা জানি না। হরতালের পক্ষ খুবই শক্তিশালী। সরকার তাদের কাছে জিম্মি কিনা তাও জানি না। সবাই মিলে ভূমি সমস্যা সমাধান এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। ২০২১ সালের জুনে বৈঠক হয়েছিল ভূমি কমিশনের। এরপর আর কোনো বৈঠক হয়নি।
উল্লেখ্য, গেল রোববার রাত ১টার দিকে রেংয়েন ম্রোপাড়ায় ৩টি ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বত্তরা। এছাড়া ৩টি ঘর ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আরও দুটি ঘরের বেড়া ভেঙে ফেলা হয়। হামলাকারীরা লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের লোক বলে ক্ষতিগ্রস্ত ম্রোরা অভিযোগ করে আসছেন। তবে রাবার ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা এতে জড়িত নয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.