রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে বিষাক্ত সাপের কামড় চিকিৎসায় উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ফলে সাপের কামড়ের রোগীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে গিয়ে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে, হাসপাতালে মজুদ রাখা সাপের কামড়ের এ্যান্টি স্নেক ভেনম(এভিএস)-এর মূল্যবান প্রতিষেধকের ঔষধের মেয়াদ পুড়িয়ে যাওয়ায় বর্তমানে হাসপাতালে এ ঔষধের স্বপ্লতা দেখা দিয়েছে। তবে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ ঔষধ মজুদ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবী করেছে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মাসে সাপের কামড়ের ৫ থেকে ৬ জন রোগীকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিষাক্ত সাপের কামড়ে আহত একজন রোগীকে তাৎক্ষনিকভাবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের বিষাক্ত সাপে কামড়ে আহত না হওয়ায় তাদের রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, ২০১৩ সালের ২ ফ্রেরুয়ারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাপের কামড়ের ৩৮টি এভিএস প্রতিষেধ ঔষধ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পাঠানোর ৮ মাসের পর ওই ঔষধের কার্যকারিতার মেয়াদ পুড়িয়ে যায়। মেয়াদ উত্তীর্ণ এসব ঔষধ ফেরত নেওয়ার জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে কয়েকবার চিঠি লেখার পরও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ফেরত নেয়নি। ফলে বর্তমানে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে বিষাক্ত সাপের কামড়ের এভিএস ঔষধের স্বপ্লতা দেখা দিয়েছে। তবে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে এ ঔষধের মজুদ না থাকলেও সিভিল সার্জন কার্যালয়ে মজুদ রয়েছে। এছাড়া রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে সাপের কামড় চিকিৎসায় উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় এভিএস প্রতিষেধ ঔষধ রোগীদের প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা.নূয়েন খীসা জানান, সাপের কামড়ের রোগী হাসপাতালে কমই এসে থাকে। গত চার মাসে মাত্র ৫থেকে ৬জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে সাপের কামড় প্রতিষেধক এভিএস ঔষধ রয়েছে সেগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ ঔষধ মজুদ রাখা হয়েছে।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা.স্নেহ কান্তি চাকমা জানান, বিষাক্ত সাপের কামড় চিকিৎসায় উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেই। ফলে সাপের কামড়ের রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.