মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসক লেলিন তালুকদারের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের ৩ সদস্যের তদন্ত দল বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে এসেছেন। ডা. লেলিনের বিরুদ্ধে চিকিৎসা সেবা প্রদানে অবহেলা, রোগীদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ন আচরণ ও অমানবিক ব্যবহারসহ নানান অভিযোগ রয়েছে।
খাগড়াছড়ির ভুয়াছড়িতে শতাধিক পরিবার ও স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষে বৃহস্পতিবার গভীর নলকুপ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, সরকার পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সুপেয় পানির কষ্টের কথা বিবেচনা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহন করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন দূর্গম এলাকায় ফলপ্রসূভাবে প্রান্তিক মানুষের ব্যবহার্য্য ও সুপেয় পানির দূর্ভোগ লাঘব করে দিয়েছে।
রোববার রাঙামাটির বরকল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিলছড়া স্যাটেলাইট ক্লিনিক পরিদর্শন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি ডাইরেক্টর ডাঃ পারানি। পরিদর্শন শেষে তিনি আধুনিক চিকিৎসা সেবার ছোঁয়া পার্বত্যঞ্চলের দূর্গম উপজেলা গুলোতে এখনো পৌছাঁনো সম্ভবপর না হলেও বর্তমানে যে অবস্থায় চিকিৎসা সেবা চলছে সেটির মান উন্নয়ন করা জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন।
বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে সোমবার বরকলে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাঙামাটির বরকল উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ-সিএইচটিডিএফ স্বাস্থ্য কর্মসূচি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ও হিল ফ্লাওয়ারের উদ্যোগে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুইমিপ্রু রোয়াজা।
শনিবার খাগড়াছড়ির আটটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স‘র মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ও ফার্মাসিস্টরা কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে তিন দিনের কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করছে। বরিশালে আন্দোলনরত আইএইচটির শিক্ষার্থীর উপর পুলিশী হামলার বিচার, মেডিকেল টেকনোলজিষ্টদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদ মর্যাদা, ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্যে আলাদা শিক্ষাবোর্ড গঠনসহ দশ দফা দাবীতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
যক্ষা নিয়ন্ত্রন কার্যক্রমঃ অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক সোমবার রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোল টেবিল বৈঠকে ব্ক্তারা বলেছেন, জনসচেতনাই পারে একমাত্র যক্ষা রোগ নির্মুল করতে। তাই সামাজিকভাবে সচেতনা বৃদ্ধিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে চিকিৎসক- নার্স কিছুই নেই। মাসে তো নয় বছরেও কর্মস্থলে আসেন না চিকিৎসকরা। অসুখ হলে যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তারাই উপজেলা সদরের হাসপাতাল অথবা জেলা সদরের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায়। আর যাদের টাকা পয়সা নেই তারা স্থানীয় হাতুঁড়ে চিকিৎক, বৈদ্য ও কবিরাজের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা করায়। এভাবে চলছে আমাদের জীবনের স্বাস্থ্য সেবা।