৩৬ কোটি টাকার ব্যয়ে শনিবার বান্দরবানবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি বান্দরবান নার্সিং কলেজের ভিত্তি প্রস্থর উদ্ধোধন করা হয়েছে। বান্দরবান সদর হাসপাতাল এলাকায় অবস্থিত নার্সিং কলেজের ভিত্তি প্রস্থর উদ্ধোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
ভিত্তি প্রস্থর উদ্ধোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডাঃ মংতেঝ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা,জেলা প্রশাসক কেএম তারিকুল ইসলাম, বান্দরবান সেভেন ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এম শাখাওয়াত হোসেন পিএসসি, চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ মোঃ আলাউদ্দিন,পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্ট্যাচার্য, জেলা পরিষদের সদস্য বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাজি মোঃ মজিবর রহমান,জেলা পরিষদ সদস্য কাঞ্চনজয় তংচঙ্গ্যা, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস,থানছি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মার্মা,রুমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উথোয়াইচিং,রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যবামং,নাইক্ষংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফাইল আহমেদ, লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আমীর আবদুল্লা মুহঃ মঞ্জুরুল করিম,জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী,আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংক্যাচিং চৌধুরী,জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই নার্সিং কলেজে ডিপ্লোমা নিয়ে বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের ছেলে মেয়েরা আর্তমানবতার সেবায় আত্ননিয়োগ করতে পারবে।
অপরদিকে একই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিভাগ ও এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের মাধ্যমে সদর উপজেলা জনগনের মাঝে কিটনাশকযুক্ত মশারী বিতরনেরও উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।
নার্সিং কলেজের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে স্বাস্থ্য বিভাগের ত্র“তি ও অনিয়মের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর অত্যান্ত কড়া ভাষায় বলেন, এদের কারনেই বান্দরবানে ম্যালেরিয়ার প্রাদর্ভাব বেশি হচ্ছে। তিনি সিভিল সার্জন কে উদ্দেশ্য করে বলেন জনসেবার ব্রত নিয়ে চিকিৎসকেরা সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেছেন। বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়োগকৃত চট্টগ্রামের বড় বড় চিকিৎসকরা চাকুরী না করে কেন বান্দরবান থেকে বেতন ভাতা নেন? এই ব্যাপারে আর কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে প্রতিমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ্য করে বলেন প্রতিমাসে উপজেলার প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে পরিদর্শন বইতে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন আমি নিজেও সকল উপজেলার সরকারী অফিস,স্বাস্থ্য বিভাগ পরিদর্শন করে দেখব। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত জন প্রতিনিধি। তিনি তাদেরকে জনগনের অর্পিত দায়িত্ব সুষ্টভাবে পালনের আহবান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পুর্বে প্রতিমন্ত্রী বান্দরবান সদর হাসপাতালে টেলিমেডিসিন এবং জিন-এস্পার্ট মেসিনের ও উদ্বোধন করেন। এই সময় তিনি টেলি কন্ফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকায় কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন চট্টগ্রাম বিভাগে এই ধরনের মেশিন স্থাপন এই প্রথম। এর মাধ্যমে যে কোন জটিল রোগের চিকিৎসা ঢাকার বড় বড় চিকিৎসকদের সাথে পরামর্শ করে তাদের ম্ধ্যামে চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
একই দিনে বান্দরবান হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ সদ্য নিয়োগকৃত ৩৬ জন চিকিৎসক যোগদান করেন। এসময় প্রতি মন্ত্রী নতুন যোগদান করা চিকিৎসকের উদ্দেশ্যে বলেন মানব সেবার ব্রত নিয়ে আপনারা চাকুরীতে যোগদান করেছেন। তিনি তাদেরকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালনের আহবান জানান।
এছাড়া প্রতিমন্ত্রীর বাস ভবনে অপর এক অনুষ্ঠানে ২৩ টি সংস্থাকে জাতীয় সমাজকল্যান পরিষদের উদ্যোগে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার অনুদান এবং সুদমুক্ত ঋন বিতর করেন।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.