মা ও নব জাতকের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ বিষয়ক চার দিন ব্যাপী কর্মশালা রোববার রাঙামাটিতে উদ্বোধন করা হয়েছে।
ইউনিসেফ সহায়তায় ও জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সন্মেলন কক্ষে চার দিন ব্যাপী কর্মশালার উদ্ধোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে , বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস,এম জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তানভির সিদ্দিকী, পার্বত্য সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক জানে আলম, ইউনিসেফ কর্মকর্তা ডা. রিয়াদ মাহমুদ। চার দিন ব্যাপী কর্মশালায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, এনজিও কর্মী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে কর্মী, প্রশিক্ষিত ধাত্রী ও নার্সসহ ৬০ জন অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন পার্বত্যাঞ্চলে দুর্গম এলাকায় মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পারলে পার্বত্য অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবা অনেক সফলতা আসবে। এ জন্য সবাই এক সাথে কাজ করতে হবে।
তিনি রাঙামাটি স্বাস্থ্য সেবা জেলা পরিষদের হাতে ন্যস্ত হলেও চিকিৎসক সংকটের কারণে স্বাস্থ্য সেবাকে জনগনের দৌড় গোড়ায় পৌছে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে উল্লেখ করে আরও বলেন, তিনি পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে চিখিৎসকের জন্য মন্ত্রনালয়ে বেশ বারংবার যোগাযাগ করলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসক পায়নি। তার পরও ১৬৫ জন চিকিৎসকের স্থলে রয়েছে মাত্র ৫২ জন চিকিৎসক। এই ৫২ জন চিকিৎসক নিয়ে এ জেলার দুর্গম ১০ টি উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবা দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারীভাবে না পারলেও দুর্গম এলাকাগুলোতে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থ্যার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার যে প্রয়াস নেয়া হয়েছে সে জন্য জেলা পরিষদ অনেকটা সফল হয়েছে। এর কারণে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমে এসেছে। তিনি সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরে বলেন, সম্প্রতি অনেক চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আমরা আশা করছি আগামী কিছু দিনের মধ্যে বেশ কিছু চিকিৎক পাবো। পর্যাপ্ত চিকিৎসক পেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো চিকিৎসা সংকট দুর হবে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.