মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাাই জল উৎসব শুক্রবার উদযাপিত হয়েছে। এসময় হাজার হাজার লোকের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো উৎসব স্থল। নববর্ষকে বরণ এবং পুরানো বর্ষকে বিদায় উপলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই জল উৎসব উদযাপন করে থাকেন।
চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার মাঠে ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ বিহারের সাংগ্রাই জল উদযাপন কমিটির আয়োজনে উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন কাপ্তাই ৪১ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাব্বির আহমেদ। সাংগ্রাই জল উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী সভায় সভাপত্বিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য প্রকৌশলী থোয়াইচিং মং মারমা, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী, ৩২৩ নং চিৎমরম মৌজার হেডম্যান ক্যওসিং মং। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংগ্রাই জল উৎসব- উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ক্যপ্রæ চৌধুরী। উৎসবে বিভিন্ন এলাকা থেকে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার শিশু থেকে নারী-পুরুষের আগমন ঘটেছে। উৎসবকে কেন্দ্র করে চিৎমরম এলাকায় বসে বৈশাখী মেলা। দূর দূরান্ত থেকে হরের রকম পণ্য নিয়ে প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা তাদের পসরা সাজিয়েছেন।
উৎসবের উদ্ধোধনের পর ডিঙ্গি নৌকায় রাখা পানিতে মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরের প্রতি পানি ছিঁটিয়ে পুরানো বছরের দুঃখ,গ্লানি, বেদনাকে ভূলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় এ জল উৎসবে মেতে উঠে। নিবার রাঙামাটির কাউখালী বেতবুনিয়ায় মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে জল উৎসব উদযাপনের মধ্য দিয়ে রাঙামাটিতে পকাল ব্যাপী বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক, বিষু,বিহু উৎসব শেষ হবে।
জল উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী জানান, মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জল উৎসবকে ঘিরে এখন উৎসবে আনন্দে মাতোয়ারা সমগ্র চিৎমরম এলাকা। উৎসবকে ঘিরে নানা বর্ণের মানুষের আগমন ঘটেছে এই এলাকায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.