আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই পাহাড়ে যে সমস্ত সন্ত্রাসী গ্রুপ যারা বিভিন্ন নামে-বেনামে অস্ত্র হাতে নিয়ে এই পাহাড়ে অশান্তি করার চেষ্টা করছেন, তাদের দ্বারা এই পাহাড়ের মানুষের কোনো রকমের উপকার হবে না-কল্যাণ হবে না, অকল্যাণই একমাত্র যাদের দ্বারা হয়।দেশনেত্রী শেখ হাসিনা শান্তি চুক্তি করেছিলেন এই এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, প্রত্যেক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (পিসিজেএসএস) উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, আপনারা আসুন-শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন অনেকগুলো হয়েছে। আরো বাকীগুলো বাস্তবায়ন হবে। আপনাদের ধৈর্য রাখতে হবে।
সোমবার বান্দরবান রাজার মাঠে জেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি’র উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি অনেকেই অবৈধভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে অবৈধভাবে শাসন করতে এসেছেন। অবৈধ পন্থায় বা অবৈধভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে মানুষের কোনো কল্যাণ আসতে পারে না। পৃথিবীর কোনো দেশে যারা অবৈধভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে এই ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছেন-তারা কখনো জনগণের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে নাই। আজকে যেভাবে যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেই তাকিয়ে দেখেন ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন এই দলের (বিএনপি) কাছে দেশ ও জাতির কোনো কল্যাণ আসে নাই। কারণ যার জন্ম অবৈধভাবে, অবৈধপন্থায়, অবৈধ ক্ষমতা দিয়ে কখনো জনগণের কল্যাণ করা যায় নাই এতা প্রমানিত হয়েছে বারবার।
দীর্ঘ ছয় বছর পর জেলা আ’লীগের সম্মেলনে জেলা আ’লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, বাংলাদেশ আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
জেলা আ’লীগের সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে আগত অতিথিসহ কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের নিয়ে অরুণ সারকি টাউন হলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মাহাবুব উল আলম হানিফ জেলা আ’লীগের নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে জেলা পরিষদ বর্তমান চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমান পৌর মেয়র ইসলাম বেবীর নাম ঘোষনা করেন।
জেলা ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল ঘিরে সভাপতি পদে একক প্রার্থী ছিলেন ক্য শৈ হ্লা, সাধারণ সম্পাদক পদে ইসলাম বেবীসহ ছয়জন প্রার্থী দলীয় ফরম জমা দেন। সম্মেলনে সাত উপজেলা ও ৩৩টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ঢলে ঢলে উপস্থিত হয়ে রাজার মাঠ কাণায় কাণায় পূর্ণ করেন। নেতাকর্মীদের মাঝে সম্মেলন ঘিরে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা যায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.