ভুমিকম্পের জন্য অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে চিহিৃত করা রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতাল ভবনটি। তাই সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ন পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাসপাতালের বর্তমান অবকাঠামো সম্পূর্ন রুপে অপসারিত করা প্রয়োজন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের(ইউএনডিপি) সহযোগিতায় এশিয়ান ডিসআস্টার প্রির্টিনেস সেন্টার স্ট্রাকচারাল ্এ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট ফর আর্তকোয়াক রিস্ক রিডাকসেন প্রোগ্রাম ইন সিএইচটি-এর রিপোর্টে হাসপাতাল কমপেক্্েরর এই ঝুঁকিপূর্ন পরিস্থিতির কথা উলেখ করা হয়েছে। তবে ২০১০ সালের জরিপে এই ঝুঁকিপূর্ন পরিস্থিতির কথা উলেখ করা হলেও রিাের্ট প্রকাশের চার বছর পরেও হাসপাতাল কমপেক্্রকে ঝুঁকিমুক্ত করার কোন পদপে নেয়া হয়নি।
জানা গেছে, ইউএনডিপি পরিচালিত এই রিপোর্টে রাঙামাটি জেলা সদরে ১৪ টি অবকাঠামোকে ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, রাঙামাটি বিটিসিএল ভবন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, রাঙামাটি পৌরসভা মিলনায়তন ও পৌর ভবন, রাঙামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ভবনসহ ১৪ টি স্থাপনাকে ভুমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
সূত্র মতে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল কমপ্লেক্স বিষয়ে ইউএনডিপির জরিপে জানানো হয় বর্তমানে হাসপাতাল ভবনটির যে অবস্থায় রয়েছে তাতে এটি ব্যবহারের জন্য অনুপোযোগী। ২০০১ সালে নির্মিত এই হাসপাতাল কমপেক্্র যেখানে নির্মান করা হয়েছে সে স্থানের মাটি ডি ক্যাটাগরির । এই মাটি ভুমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ন । রিপোর্টে আরও উলেখ করা হয়, হাসপাতাল ভবন নির্মানে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বির্ল্ডিং কোর্ড ১৯৯৩ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি এবং ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসেবে এই অবকাঠামো নির্মান করা হয়নি। হাসপাতাল কমপ্লেক্সের কলামও যথাযথ ভাবে করা হয়নি।
এদিকে সূত্র মতে, ২০১০ সালে এই রিপোর্ট দেয়ার পর রাঙামাটি পৌরসভা কর্তৃপ ২০১৩ সালের ২০ মে সিভিল সার্জনকে রিপোর্টের একটি কপি সরবরাহ করেই তাদের দায়িত্ব শেষ করে। এর পর এক বছর পার হলেও এই বিষয়ে পৌরসভার প থেকে কোনরুপ পদপে গ্রহন করা হয়নি।
জেনারেল হাসপাতাল কমপ্লেক্সের বর্তমান ঝুঁকিপূর্ন চিত্রের বিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জুন মাসের জেলা পষিদের হস্তান্তরিত বিভাগের সমম্বয় সভায় উপস্থাপন করেন এবং ইউএনডিপির রিপোটের বিভিন্ন বিষয়েও তুলে ধরেছেন।
এই বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান ইউএনডিপর ২০১০ সালের রিপোর্টে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল কমপ্লেক্সটি ঝুঁিকপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করে হাসপাতাল থেকে রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে হাসপাতাল সম্পর্কে প্রদত্ত তথ্যেও অধিকতর যাচাই বাছাই করে মতামত দেয়ার জন্য রাঙামাটি গনপূর্ত বিভাগ এবং স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে দুই দফা চিঠি দেয়া হলেও এই দুই প্রতিষ্ঠানের প থেকে কোন প্রকার সাড়া মিলেনি। স্বাস্থ্য বিভাগ রাঙামাটি জেলা পরিষদের কাছে হস্থান্তরিত বিভাগ বিধায় বিষয়টি জেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে এবং এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয়কে অবহিত করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই মূহুর্তে বিকল্প কোন জায়গায় হাসপাতালের রোগীদের সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয় এবং হাসপাতালের কার্যক্রম ও অন্যত্র সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। ফলে ভুমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ন হলেও হাসপাতাল কমপ্লেক্সের কার্যক্রম অব্যাহতভাবে রাখতে হচ্ছে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর