• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
রাঙামাটি রাজ বন বিহারে দুদিনের কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন                    রাঙামাটির রাজবন বিহারে দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব শুরু                    বৃহস্পতিবার থেকে দুদিন ব্যাপী শুরু হচ্ছে রাজ বনবিহারে ৪৯তম কঠিন চীবর দান                    রাঙামাটির সীমান্তবর্তী দুর্গম হরিণায় বিজিবির মানবিক সহায়তা                    বিলাইছড়িতে প্রকল্প পরিদর্শনে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক                    বিলাইছড়িতে বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনে ডিপিও                    বিলাইছড়িতে ২২ লিটার মদসহ আটক ১                    কাপ্তাই হ্রদ খননে পরিকল্পনা নেওয়া হবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা                    রাঙামাটির বিএফডিসির বেহাল অবস্থায় দেখে হতাশা প্রকাশ মৎস্য উপদেষ্টার                    জুরাছড়ির ধামাইপাড়া বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান সম্পন্ন                    কাউখালীতে পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটি চাপায় নিহত ১: আহত ১                    ইইউ’র অর্থায়নে বিলাইছড়িতে নগদ অর্থ সহায়তা পেল ১৭৯ পরিবার                    ৮৬ দিন পর ভেসে উঠল রাঙামাটির পর্যটনের ঝুলন্ত সেতু                    রাঙামাটিতে প্রধান শিক্ষককের বিদায় সংবর্ধনা ও শিক্ষক সম্মাননা প্রদান                    রাঙামাটিতে বিরল প্রজাতির গোপালী বুনো হাতি শাবকের মৃত্যু                    চাকমা ও মারমা ভাষার পাঠ্যপুস্তকে নিজস্ব লিপিতেই প্রকাশের দাবি ২৪ বিশিষ্ট নাগরিকের                    বিলাইছড়ি বহুতল ভবন থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু                    রাঙামাটিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ                    জুরাছড়ি বরকলক শান্তিদান বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত                    রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য দুমদুম্যায় কমিউনিটি ক্লিনিক পরির্দশন                    খাগড়াছড়িতে বাস উল্টে নিহত ২, আহত ১০                    
 
ads

৬ মাসেও জুরাছড়ির লুলাংছড়ি-বালুখালী সংযোগ কালভার্টের সংস্কার হয়নি

সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি(রাঙামাটি) : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 26 Nov 2017   Sunday

৬ মাসেও রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা সদরের লুলাংছড়ি- বালুখালী সংযোগ সড়কের কালভার্টটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্তমানে বাঁশের সাকো দিয়ে তৈরী কালভার্ট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থীসহ লোকজনদের পারাপার করতে হচ্ছে। এতে এলাকাবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগের অন্ত নেই। গেল ১৩ জুন পাহাড় ধসে ও পাহাড়ী ঢলে কালভার্টটি ভেঙ্গে যায়। 

 

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সদরের জুরাছড়ি থানা সংলগ্ন লুলাংছড়ি-বালুখালী সংযোগ সড়কে উপর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় প্রায় দুইশ ফুট দৈর্ঘ্যর কালভার্টটি। এই কালভার্ট দিয়ে প্রতিদিন উপজেলা সদরের সাথে বালুখালী, লুলাংছড়ি,ডেবাছড়া এবং দুদুম্যা ও মইদ্যাং ইউনিয়নের স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থী থেকে প্রায় দশ হাজার মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। কিন্তু গত ৬ জুন ভয়াবহ পাহাড় ধসে ও পাহাড়ী ঢলের কারণে দুই ইউনিয়নসহ তিনটি গ্রামের পারাপারের একমাত্র কালভার্টটি ভেঙ্গে যায়। এলাকার লোকজন বাধ্য হয়ে পারাপারের জন্য বাঁশের তৈরী সাকো নির্মাণ করে। এছাড়া পাহাড় ধসের ঘটনায় জুরাছড়ি ইউনিয়নের লুলাংছড়ি ও সাপছড়ি, রাঙাচান হেডম্যান পাড়া সংলগ্ন কালভার্টটিও ভেঙ্গে গেছে। এর পর থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেঙ্গে যাওয়া কালভার্টটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি।


এলাকাবাসীরা আরো জানায়,এ কালভার্ট দিয়ে দিয়ে জুরাছড়ি, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নের দশ হাজারের অধিক মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়ত ও নানা কাজে কালভার্টের উপর দিয়ে পারাপার হতে হয়। অন্যদিকে লুলাংছড়ি ও সাপছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক এবং ভুবন জয় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও পানছড়ি ভুবন জয় সরকারী মডেল বিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থী পারাপার করতে হয়।


ভুবন জয় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিপা চাকমা, জয় কর্মকার জানায়,প্রতিদিন বাঁশের সাকো দিয়ে ভয়ে ভয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। কিছু দিন আগে দুই শিক্ষার্থী পারাপারের সময় নিচে পড়ে গিয়েছিল।


বালুখালী বাসিন্দা যুবক বিকাশ চাকমা জানান, বিগত পাহাড় ও প্রবল পাহাড়ী ঢলে নির্মানাধীন কালভার্টটি মুচড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে যাতায়তের সুবিধার্থে এলাকায় সেচ্চা শ্রমে এই বাঁশে সাকোটি নির্মান করেছে। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার বীর চাকমা জানান, বালুখালীর যুবকরা যদিও সেচ্চায় সাকোটি নির্মাণ করেছে, কিন্ত বর্তমানে সাকোটি ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে।


পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের এষ্টেট ইন্সপেক্টর মোঃ খোরশেদ আলম দাবী করছে চলতি অর্থ বছরে ক্ষতিগ্রস্থ্য কালভাটটি ভেঙ্গে সম্পূর্ন কালভার্টটি নির্মাণ করা হবে।


জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, কালভার্টটি সংস্কার অথবা আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।


উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা বলেন, কালভাটটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিলেও সংস্কারের বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। কালভার্ট নির্মানের উপজেলা পরিষদের এত বড় অর্থ বরাদ্দ নেই।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ