৬ মাসেও জুরাছড়ির লুলাংছড়ি-বালুখালী সংযোগ কালভার্টের সংস্কার হয়নি

Published: 26 Nov 2017   Sunday   

৬ মাসেও রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা সদরের লুলাংছড়ি- বালুখালী সংযোগ সড়কের কালভার্টটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্তমানে বাঁশের সাকো দিয়ে তৈরী কালভার্ট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থীসহ লোকজনদের পারাপার করতে হচ্ছে। এতে এলাকাবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগের অন্ত নেই। গেল ১৩ জুন পাহাড় ধসে ও পাহাড়ী ঢলে কালভার্টটি ভেঙ্গে যায়। 

 

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সদরের জুরাছড়ি থানা সংলগ্ন লুলাংছড়ি-বালুখালী সংযোগ সড়কে উপর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় প্রায় দুইশ ফুট দৈর্ঘ্যর কালভার্টটি। এই কালভার্ট দিয়ে প্রতিদিন উপজেলা সদরের সাথে বালুখালী, লুলাংছড়ি,ডেবাছড়া এবং দুদুম্যা ও মইদ্যাং ইউনিয়নের স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থী থেকে প্রায় দশ হাজার মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। কিন্তু গত ৬ জুন ভয়াবহ পাহাড় ধসে ও পাহাড়ী ঢলের কারণে দুই ইউনিয়নসহ তিনটি গ্রামের পারাপারের একমাত্র কালভার্টটি ভেঙ্গে যায়। এলাকার লোকজন বাধ্য হয়ে পারাপারের জন্য বাঁশের তৈরী সাকো নির্মাণ করে। এছাড়া পাহাড় ধসের ঘটনায় জুরাছড়ি ইউনিয়নের লুলাংছড়ি ও সাপছড়ি, রাঙাচান হেডম্যান পাড়া সংলগ্ন কালভার্টটিও ভেঙ্গে গেছে। এর পর থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেঙ্গে যাওয়া কালভার্টটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি।


এলাকাবাসীরা আরো জানায়,এ কালভার্ট দিয়ে দিয়ে জুরাছড়ি, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নের দশ হাজারের অধিক মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়ত ও নানা কাজে কালভার্টের উপর দিয়ে পারাপার হতে হয়। অন্যদিকে লুলাংছড়ি ও সাপছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক এবং ভুবন জয় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও পানছড়ি ভুবন জয় সরকারী মডেল বিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থী পারাপার করতে হয়।


ভুবন জয় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিপা চাকমা, জয় কর্মকার জানায়,প্রতিদিন বাঁশের সাকো দিয়ে ভয়ে ভয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। কিছু দিন আগে দুই শিক্ষার্থী পারাপারের সময় নিচে পড়ে গিয়েছিল।


বালুখালী বাসিন্দা যুবক বিকাশ চাকমা জানান, বিগত পাহাড় ও প্রবল পাহাড়ী ঢলে নির্মানাধীন কালভার্টটি মুচড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে যাতায়তের সুবিধার্থে এলাকায় সেচ্চা শ্রমে এই বাঁশে সাকোটি নির্মান করেছে। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার বীর চাকমা জানান, বালুখালীর যুবকরা যদিও সেচ্চায় সাকোটি নির্মাণ করেছে, কিন্ত বর্তমানে সাকোটি ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে।


পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের এষ্টেট ইন্সপেক্টর মোঃ খোরশেদ আলম দাবী করছে চলতি অর্থ বছরে ক্ষতিগ্রস্থ্য কালভাটটি ভেঙ্গে সম্পূর্ন কালভার্টটি নির্মাণ করা হবে।


জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, কালভার্টটি সংস্কার অথবা আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।


উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা বলেন, কালভাটটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিলেও সংস্কারের বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। কালভার্ট নির্মানের উপজেলা পরিষদের এত বড় অর্থ বরাদ্দ নেই।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত