সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রেস নোটে মন্ত্রনালয়ের কার্যবিবরণীতে উপজাতী/ ক্ষুদ্রজাতি স্বত্বা জনগনের বিষয়ে যে সকল আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, সে সব শব্দ ও বাক্যের পরিবর্তে সংশোধিত শব্দ এবং বাক্য সংযোজনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ঐ সভার কার্যবিবরণী ও সিদ্ধান্ত শীঘ্রই সংশোধন করা হবে বলে আমাদেরকে জানানো হয়েছে।
তিনি শুক্রবার বিকালে রাঙামাটি শহরের চম্পকনগরস্থ বাসভবনে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের কর্মিদের প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত কথা বলেন।
সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি স্পর্শ কাতর এলাকা। এখানে দেশী-বিদেশী কিছু সংগঠন বা সংস্থার তাদের নিজস্ব এজেন্ডা থাকতে পারে। সেই এজেন্ডা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগনের অকল্যানই বয়ে আনবে। এলাকায় তাদের কর্মকান্ডে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ সমস্ত কর্মকান্ড যেন চালাতে না পারে এজন্য সরকারের সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত। কিন্তু সতর্ক দৃষ্টি রাখতে গিয়ে কোন গোটা সম্প্রদায়কে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা সমিচিন নয়। জাতীয় সংহতির মূল চেতনা থেকে কাউকে বিচ্ছিন্ন করাটাও ঠিক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একটি সভার কার্যবিবরণী নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে তা কারো প্রত্যাশিত নয়। সারা বাংলাদেশের উপজাতী / ক্ষুদ্র জাতিস্বত্বার জনগন আহতবোধ করে এরকম শব্দ সরকারী-বেসরকারী ভাষায় ব্যবহার করা ঠিক নয়। পাশাপাশি সকলেরই উচিত অশালিন শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, পার্বত্য জনগনের উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম এর উদ্বোধন করেছেন তার জন্য পাহাড়ী-বাঙ্গালী সকল জনগনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই। তিনি আর কাল ক্ষেপন না করে অবিলম্বে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ক্লাস শুরু করার জোর দাবী জানান।
তিনি বলেন, উন্নত চিকিৎসার অভাবে পার্বত্য এলাকার অনেক রোগীকে চট্টগ্রাম নেয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে উন্নত চিকিৎসার অভাব অনেকাংশে দূর হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.