দীর্ঘ সময় ধরে সরকারীভাবে কর্মকর্তা নিয়োগ না দেয়ায় জনবলের অভাবে রাঙামাটির ৯ উপজেলায় পরিসংখ্যান অফিসগুলোতে কর্মকর্তা শুন্য রয়েছে । ফলে এসব অফিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে কর্মকর্তা নিয়োগ না দেয়ায় রাঙামাটি সদর, কাপ্তাই, কাউখালী, রাজস্থলী, নানিয়ারচর,বিলাইছড়ি,জুরাইছড়ি, বরকল ও লংগদু উপজেলায় পরিসংখ্যান অফিস গুলোতে উপজেলা কর্মকর্তার পদ শুন্য রয়েছে। ওসব উপজেলার অফিসগুলোতে শুধু উপজেলার কর্মকর্তার পদ নয় পরিসংখ্যান তদন্তকারী (এস আই) পদ কনিষ্ঠ পরিসংখ্যান সহকারি, অফিস সহকারী,চেইনম্যানসহ পিয়ন পদ শুন্য রয়েছে। এসব অফিসগুলোতে জনবল না থাকায় মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের মধ্যে আদম শুমারী,তাত শুমারী, অর্থনৈতিক শুমারী, মৎস্য শুমারী,বন শুমারী,প্রাণী সম্পদ শুমারী,কৃষি শুমারী ও খানার আয় ব্যয় শুমারীর ব্যাহত হচ্ছে। তবে অভিযোগ রয়েছ জনবল না থাকায় নামেই মাত্র কার্যক্রম চালিয়ে ভূয়াঁ প্রতিবেদন পাঠানো হয়।
উপজেলা অফিস সুত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জরিপের মধ্যে শুধু মাত্র কৃষি বিভাগের ১১৫ প্রকার ফসলের হিসাব করে যেমনি প্রতিবেদন পাঠাতে হয়। তেমনি অন্য দফতরের ও অনেক বিষয় মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে প্রতিবেদন পাঠাতে হয়। ফলে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় মাঠ পর্যায় থেকে সঠিক জরিপ করে সঠিক ফলাফল তুলে আনা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে বলে জানান বরকল বরকল উপজেলা কনিষ্ঠ পরিসংখ্যান সহকারি এশা চাকমা।
উপজেলার পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, প্রতিটি অফিসে ৫জন করে কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রাঙামাটি সদর উপজেলার ৫জনের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৩জন। কাপ্তাই উপজেলা অফিসে কর্মরত রয়েছেন ২জন। কাউখালি উপজেলার অফিসে কর্মরত রয়েছেন ২জন। রাজস্থলী উপজেলা অফিসে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১জন। বিলাইছড়ি উপজেলা অফিসে কর্মরত রয়েছেন ২জন। লংগুদু উপজেলার অফিসে কর্মরত রয়েছেন ২জন। বরকল উপজেলার অফিসের কর্মরত রয়েছেন ৩জন। জুরাইছড়ি উপজেলার অফিসে কর্মরত রয়েছেন ২জন এবং নানিয়ারচর উপজেলা অফিসে কর্মরত রয়েছেন ২জন।
ফলে এসব অফিসের পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে একদিকে দাপ্তরিক কার্যক্রমে যেমনি ব্যাহত হচ্ছে তেমনি ওসব দপ্তর থেকে উপজেলার মানুষ কোন সেবা পাচ্ছেন না। কেবল মাত্র নামে রয়েছে সরকারি এসব অফিস। এসব অফিসের সরকারি কার্যক্রম সচল করতে ও উপজেলার মানুষদের সেবা নিশ্চিত করতে হলে অতিদ্রুত শুন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার দাবী জানিয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ।
বরকল উপজেলা পরিসংখ্যান তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মংলাতুন রাখাইন জানান, তার কর্মস্থল বরকলে। কিন্তু জনবল না থাকায় তাকে জেলার নয়টি উপজেলায় খানার আয় ব্যয় জরিপের কাজ করতে হচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এ জরিপ শুরু হয়েছে আগামী বছরের এপ্রিল মাসে জরিপের কার্যক্রম শেষ হবে। উপজেলার অফিসগুলোতে পর্যাপ্ত জনবল থাকতো তাহলে তাকে নয়টি উপজেলায় কষ্ট করে এ জরিপ কাজ করতে হতো না।
উপজেলার পরিসংখ্যান অফিসগুলোতে শুন্য পদের ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মানবেন্দ্র নারায়ন দেওয়ান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলার পরিসংখ্যান অফিসগুলোতে কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ না দেয়ায় শুন্য রয়েছে। শুধু মাত্র বাঘাইছড়ি উপজেলায় কর্মকর্তা রয়েছেন। বাকী নয়টি উপজেলায় কর্মকর্তা না থাকায় তাকে দেখভাল করতে হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.