অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মৌসুমের আগেই রাঙামাটির বিভিন্ন হাট-বাজারে আসতে শুরু করেছে রসালো আনারস। ফলে মৌসুমের আগেই আনারস বাজারের আসায় প্রচুর দাম পাওয়ায় বেশ খুশি কৃষকরা। ইতোমধ্যে এসব আনারস স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়,এ বছর রাঙামাটি জেলায় প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর পাহাড়ি ঢালু জমিতে আনারসের চাষ করা হয়েছে। যার উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। রাঙামাটি জেলায় আনারস সাধারন জায়েন্ট কিউ ও হানিকুইন নামের দুজাতের চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে হানি কুইন জাতের আনারস বেশী চাষ হয়ে থাকে।
এদিকে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর গ্রীস্ম মৌসুমের আগেই রাঙামাটির বিভিন্ন হাট-বাজারে আসতে শুরু করেছে রসালো আনারস। ফলে মৌসুমের আগেই আনারস বাজারের আসায় নায্য মূল্য পাওয়ায় বেশ খুশি কৃষকরা। জেলার নানিয়ারচর, লংগদু ও বাঘাইছড়িতে আনারসের উৎপাদন বেশী হয়। এসব স্থান থেকে উৎপাদিত আনারস কৃষকেরা ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে রাঙামাটি শহরের সমতাঘাট, পৌরসভা ট্রাক টার্মিনাল, কলেজ গেইট ও রির্জাভ বাজারে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারি ব্যবসায়িরা ক্রয় করে থাকেন।
পরে এসব আনারস ট্রাকে করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বাজারে বর্তমানে আনারসের দাম একটু বেশী। সাধারন মানুষের নাগালে বাইরে রয়েছে। এসব আনারস ছোট আকারের প্রতি জোড়া বিক্রি হচ্ছে ২০থেকে ৪০ টাকায় এবং মাঝারি ও বড় আকারের আনারস জোড়া প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। তবে আরও কিছু দিন পর বাজারে আনারস দাম কমে আসবে বলে ধারনা।
কৃষক নূরুল আবছার ও পুস্প মোহন চাকমা জানিয়েছেন,এবছর অগ্রীম আনারস ফলন হওয়ায় বেচাকেনা ভাল হচ্ছে এবং বাজার দর ও চমৎকার। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাহিরেও যাচ্ছে এখানকার রসালো আনারস।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা জানান,বাজারের চাহিদার প্রেক্ষিতে কৃষকেরা এবছর আগাম আনারস আনার জন্য কিছু হরমন জাতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। যার কারনে বাজারে আগাম আনারস আসতে শুরু করেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.