বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি’র প্রত্যন্ত এলাকার ১৩টি বিদ্যুৎবিহীন বিদ্যালয়ে জেনারেটর বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা জাবারাং কল্যাণ সমিতি’র উদ্যোগে, দাতা সংস্থা কনসার্ন ইউনিভার্সেল বাংলাদেশ এর কারিগরী সহায়তায় নেদারল্যান্ড সরকার ও ইউনিসেফ’র যৌথ অর্থায়নে এ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।জেনারেটর বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ করিম। এসময় জেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম শাহজাহান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিটন কুমার বড়–য়া, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সদর উপজেলার উপ-সহকারি প্রকৌশলী প্রদীপ বড়–য়া ও জাবারাং কল্যাণ সমিতি’র নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।জেনারেটর গ্রহণকারী বিদ্যালয়ের প্রতিনিধির অনুভূতি জানান খাগড়াছড়ি সদও উপজেলার ছোটবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ব্রজবাসী ত্রিপুরা ত্রিপুরা ও দীঘিনালা উপজেলার হাজাছড়া জোড়াব্রীজ নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অমিয় বিকাশ চাকমা। অনুষ্ঠান শেষে জাবারাং কল্যাণ সমিতি ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি’র মধ্যকার এক সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পার্বত্যাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদের নিজ নিজ অবস্থান হতে কাজ করে যাচ্ছে। বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে জাবারাং কল্যাণ সমিতি সরকারি বিভিন্ন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠিসহ সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জাবারাং এ জেলার জনগণের প্রকৃত চাহিদার আলোকে তার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।তিনি আরও বলেন, এনজিওগুলো যদি জাবারাং কল্যাণ সমিতির মতো সরকারি বিভিন্ন বিভাগের সাথে সমন্বয়ের সাথে কাজ করে, তাহলে তাদের কাজ সম্পর্কে সরকারি কর্তৃপক্ষ যেমন অবহিত থাকে, তেমনি কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সম্পর্কেও কারো মনে কোন প্রশ্নের উদ্রেগ করবে না। তিনি জাবারাং-এর কার্যক্রমের প্রশংসা করার পাশাপাশি আগামীতে আরও জনকল্যাণমুখি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আহবান জানান এবং ভবিষ্যত সাফল্য কামনা করেন।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.