দীর্ঘ তিন মাস পানিতে ডুবে থাকার পর বুধবার পানি কমে যাওয়ায় রাঙামাটি পর্যটনের অন্যতম আকর্ষনীয় পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি পর্যটকদের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে তিন মাস সেতুটি পানির নিচে থাকায় সরকার প্রায় ১২ লাখ রাজস্ব হারিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানিয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৮৪ সালের দিকে পর্যটন কর্পোরেশন পর্যটকদের সুবিধার্থে ও মনোরঞ্জনের জন্য দুই পাহাড়ের মাঝখানে তৈরী করে আকর্ষনীয় ঝুলন্ত সেতু। বর্ষা মৌসুমে টানা বর্ষনের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে গত ২ আগষ্ট ঝুলন্ত সেতুটি প্রায় তিন ফুট পানির নিচে ডুবে যায়। এতে পর্যটন কর্তৃপক্ষ ঝুলন্ত সেতুর উপর দিয়ে পর্যটকদের চলাচলের বন্ধ করে দেয়। অবশেষে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় বুধবার থেকে ঝুলন্ত সেতুর উপর দিয়ে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিন মাস পানিতে ডুবে থাকায় সেতুর অনেক পাটাতন নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ সেগুলো মেরামত শুরু করেছে।
রাঙামাটি সরকারী পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, রাঙামাটির ঐতিহ্যবাহী ও রাঙামাটির সিম্বল পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২ আগষ্ট প্রায় তিন ফুট পানির ডুবে যায়। বুধবার পানি কমে যাওয়ায় সেতুর উপর চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তিন মাস সেতু ডুবে থাকায় সেতুর অনেক পাটাতন নষ্ট হয়েছে সেগুলো মেরামতসহ সেতুটি আকর্ষনীয় করতে রং করা হবে। তিনি জানান, তিন মাস পর্ষন্ত পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে ডুবে থাকায় প্রায় ১২ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.