আদিবাসীদের মাতৃভাষা শিখন-শেখানো উপকরণ প্রনয়ণ করতে অবশেষে রোববার থেকে চারদিন ব্যাপী ঢাকায় অবহিতকরণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এর উদ্যোগে মাল্টিলিঙ্গুয়েল এডুকেশন ফোরাম (এমএলই ফোরাম)-এর সহায়তায় গণসাক্ষরতা অভিযানের সম্মেলন কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র পাল। উদ্ধোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিকশিক্ষাক্রম) প্রফেসর ড. আব্দুলমান্নান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন এনসিটিবির কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ মো: মুরশীদ আকতার, সেভ দ্যা চিলড্রেনের এমএলই প্রোগ্রাম-এর পরিচালক মেহেরুননাহার স্বপ্না, আগা খান ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ডা: গোলাম মোস্তফা, গণসাক্ষরতা অভিযানের কার্যক্রম পরিচালক তপনকুমার দাশ প্রমুখ। কর্মশালায় পাঁচটি আদিবাসী জনগোষ্ঠির ভাষার বিশেষজ্ঞরা অবহিতকরণ কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, সবার জন্য শিক্ষার লক্ষ্য, সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও জাতীয় শিক্ষানীতিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি দলিলের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল বিভিন্ন জাতিসত্তার মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা। আজ সেই বিশেষ দিনটি আমরা পেতে চলেছি। পৃথিবীর নানা দেশে আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকলেও তার অধিকাংশই পাইলট প্রকল্পের মতো। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সরকারিভাবেই এই কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে। কার্যক্রমটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া যখন শুরু হয়েছে, তখন আমরা অবশ্যই আশা করতে পারি, আগামী বছরেরমধ্যেই আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
কর্মশালায় এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা একটি দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। আজ সরকারিভাবেই এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে চলেছে। আশাকরি, অচিরেই আমরা কোমলমতি শিশুদের নিজ নিজ ভাষায়পড়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারবো।
সুত্র জানায়, আগামী ১১ মার্চ পর্যন্ত এই অবহিতকরণ কর্মশালা চলবে। কর্মশালার মাধ্যমে সময়ভিত্তিক একটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দ্দিষ্ট পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.