মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার পর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষ তাদের স্বাভাবিক কাজকর্মে বের হচ্ছেন। দুরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে। গতকাল বন্ধ থাকলেও
আজ (৩ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি-পানছড়ি ও দীঘিনালা সড়কে গাড়ি চলাচল করছে।
খাগড়াছড়িতে আজ সাপ্তাহিক হাটবার হলেও পাহাড়ি ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। যেসব পাহাড়িরা বেচাকেনার জন্য আসতেন, তাদের অনেকেই শহরতলীর ধর্মঘর ও স্বনির্ভর এলাকায় তাদের পসরা নিয়ে বসেছেন।
এদিকে পিটুনিতে নিহত খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ ভোরে খাগড়াছড়ি হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ হস্তান্তর করা হয় বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কেউ কথা বলেননি। নিহত সোহেল রানার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ এনে এই শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করে পাহাড়ি শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা। ঘটনার জেরে শহরের পানখাইয়াপাড়া সড়ক ও মহাজনপাড়ায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এসময় দোকানের মালামাল বাইরে এনে পুড়িয়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের প্রায় সবাই পাহাড়ি।
ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
---হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/এ,ই