সবুজ স্নিগ্ধ বনানী ঘেরা নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর লামা উপজেলা। এখানে রয়েছে সর্পিল ঢেউ খেলানো অসংখ্য ছোট-বড় পাহাড় ও পাহাড়ের বুক চিড়ে বহমান নদী। মনোরম দৃশ্যের সমাহার ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারে সমৃদ্ধ লামা, ঠিক যেন শিল্পীর পটে আঁকা ছবির মতন। সর্বত্র সবুজ-শ্যামল গিরি শ্রেনীর এক অপরূপ চিত্র বৈচিত্রময় হাতছানি। বাঙ্গালী ও উপজাতির মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন এ উপজেলার অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য। ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে পাহাড় ও নদী বেষ্টিত হওয়ায় দেশের অন্যান্য জেলা উপজেলার চেয়ে পুরোপুরি বৈচিত্র্যময় বলা চলে।
ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলটি ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে চট্টগ্রাম বিভাগ হতে শাসন করা হতো। ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম জেলা হতে পৃথক করে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম’ জেলা সৃষ্টি করা হয়। জেলার শাসন কর্তা হিসাবে Superintendent of Chittagong Hill Tractsপদধারী একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রথম Superintendentহিসাবে নিযুক্ত হন Captain Magrath. তিনি চট্টগ্রামের বিভাগীয়কমিশনারের অধীনে দায়িত্ব পালন করতেন। ১৮৬৭ সনে এ জেলার শাসন কর্তার পদ পরিবর্তন করে Deputy Commissionerকরা হয়। Capt. T H Lewin এ জেলার প্রথম ডেপুটি কমিশনার নিযুক্ত হন। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম প্রশাসনিক সদর দপ্তর চন্দ্রঘোনায় স্থাপন করা হয়। ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে জেলার সদর দপ্তর রাঙামাটিতে স্থানান্তর করা হয় এবং ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দ হতে জেলা প্রশাসনের দাপ্তরিক কাজ চালু হয়। পূর্বে চট্টগ্রাম থেকে এ জেলার শাসন কার্য পরিচালনা করা হতো। Capt. T H Lewin এ জেলার স্থায়ী শাসনকর্তা হিসাবে রাঙ্গামাটিতে চলে আসেন। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে এ জেলাকে Sub-Divission-এ রূপান্তরিত করে চট্টগ্রাম কালেক্টরেটের অধীনে একজন Assistant Commissioner-এর শাসনাধীনেন্যস্ত করা হয়। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে এতদঞ্চলের শাসনকার্য পরিচালনার জন্য Chittagong Hill Tracts Regulation 1900 প্রবর্তিত হলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পুনরায় জেলায় উন্নীত করা হয় এবং শাসনকর্তার পদবী পুনরায় Superintendent করা হয়। একই সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও রামগড় নামে তিনটি মহকুমায় বিভক্ত করা হয়। প্রত্যেক মহকুমায় একজন Subdivissional Officerবা মহকুমা প্রশাসক পদায়ন করা হয়। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তিনটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরো তিনটি মহকুমা যথা,- কাপ্তাই, লামা ও খাগড়াছড়ি মহকুমা গঠন করা হয়।
এতে মহকুমার সংখ্যা ছয়টিতে উন্নীত হয়। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে Chittagong Hill Tracts Regulation 1900সংশোধন করা হয় এবং জেলার শাসনকর্তার পদবী Deputy Commissionerকরে একজন ICSসদস্যকে পদায়ন করা হয়। তার অধীনস্থ কর্মকর্তাগণের পদবী Deputy Magistrate বা Deputy Collector এবং Sub-Deputy Magistrate বা Sub-Deputy Collector করা হয়। পূর্বে এ পদবীর নাম ছিল Assistant Superintendent. বর্তমানে জেলা প্রশাসকের অধীনে দুইজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, একজন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, একজন রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর, একজন উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার ও সহকারী কমিশনারগণ কর্মরত আছেন।
সহকারী কমিশনারগণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। ব্রিটিশ সরকার এ নতুন জেলার সাধারণ প্রশাসন, ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিচার এবং রাজস্ব আদায় কার্যক্রম পরিচালনায় অনুসরণের লক্ষ্যে ২০ জুন ১৮৬০ তারিখের ৩৩০২ নং নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ১৮৬০ সনের ২২ নং আইন জারী করেন। এ আইন একই বছরের ১ আগষ্ট থেকে কার্যকর করা হয়। এ আইনের পাশাপাশি এতদঞ্চলের সর্বক্ষেত্রে ব্রিটিশ শাসন কার্যকর করার জন্য ১৮৬০ সনের ২৪ নং আইন, ১৮৬৩ সনের ৪ নং আইন (বিসি), ১৮৭৩ সনের ৫ নং বিধি এবং ১৮৮১ সনের ৩ নং বিধিসমূহ জারি করা হয়। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রবিধানের ৭ ধারা অনুযায়ী জেলার সাধারণ প্রশাসনসহ রাজস্ব, ফৌজদারী ও দেওয়ানী সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে ক্ষমতা জেলা প্রশাসকের উপর ন্যস্ত করা হয়। তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পদাধিকার বলে যগ্ম জেলা জজ এর ক্ষমতা প্রয়োগ করতেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের এখতিয়ারাধীন এ জেলার ‘দেওয়ানী আদালত’ গঠন করা হয়। তিনি পার্বত্য জেলার দায়রা জজ হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রবিধান সংশোধন করে তিনটি পার্বত্য জেলায় দেওয়ানী আদালতের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পাকিস্তান আমলে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের মৌলিক গণতন্ত্র আদেশের আওতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম ১১টি থানা পরিষদ ও ৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে আশির দশকে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ কর্মসূচীর আওতায় থানাগুলোকে মানউন্নীত করে ‘উপজেলা’ নামকরণ করা হয়।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় দশটি দশটি উপজেলা ও ৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। Code of Criminal Procedure 1898 এর ৮(১) উপধারার ক্ষমতা বলে ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল বান্দরবান ও লামা মহকুমাকে নিয়ে বান্দরবান ও ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের ১৩ অক্টোবর রামগড় ও খাগড়াছাড়ি মহকুমাকে নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা গঠন করা হয়। ১৯৮৫ সনে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তিনটি জেলার নামকরণ করা হয় যথক্রমে,- ১. পার্বত্য রাঙ্গামাটি, ২. পার্বত্য বান্দরবান ও ৩. পার্বত্য খাগড়াছাড়ি জেলা।
লামা উপজেলার দক্ষিণে- আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা, পশ্চিমে- কক্সবাজারের রামু ও চকরিয়া এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা, উত্তরে- বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়ন, পূর্বে- বান্দরবানের থানছি ও রুমা উপজেলা।
৬৭১.৮৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যে নদী এলাকা ৭৮.১৭৩ বর্গ কিলোমিটার, সংরক্ষিত বনভূমি ৩৩২.৮২৭ বর্গ কিলোমিটার ও চাষাবাদযোগ্য ভূমির আয়তন ২৬০.৮৪৫ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমানে যার অধিকাংশই আবাদ করে গড়ে উঠেছে বসতি। উপজেলাটি ২১.৩৬ হতে ২১.৫৯ উত্তর অংশ এবং ৯২.০৪ হতে ৯২.২৩ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ও সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ২৯.৮৭ মিটার উপরে অবস্থিত। এখানকার পাহাড় সমুহের উচ্চতা ২ শ’ থেকে ৩ শ’ মিটার।
এক সময়ের দুর্গম পাহাড়ি লামা বর্তমানে কোলাহলপূর্ণ বিকাশমান পর্যটন শহর। এখানের অপরুপ প্রাকৃতিক শোভা, বয়ে চলা পাহাড়ী আঁকা-বাঁকা মাতামুহুরী নদী, সুখি ও দুঃখি পাহাড়ের উঁচু চূড়া, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থমান হিসেবে পরিচিত সাবেক বিলছড়ি মহামুনি বৌদ্ধ বিহার ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ইত্যাদি দেশ-বিদেশের ভ্রমন বিলাসী পর্যটকদের সহজে আকৃষ্ট করে। তাছাড়া এ উপজেলায় বসবাসরত নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির রয়েছে আলাদা ভাষা ও সংস্কৃতি। এদের অনেক রীতিনীতি কৃষি, সামাজিক জীবনাচার ও গৌরবময় সাংস্কতিক ঐতিহ্য বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে মহিমান্বিত এবং বৈচিত্র্যময় করেছে।
২০১১ সালের আদমশুমারীর তথ্যমতে, উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৪১৩ জন। তৎমধ্যে পুরুষ ৫৮ হাজার ৯০৪ জন, মহিলা ৫৪ হাজার ৫০৯ জন। আর পরিবার ২২ হাজার ৪৪৭টি। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৮ হাজার ৪৮২জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২৯ হাজার ৯৭০ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ২৮ হাজার ৪৭২ জন। পার্বত্যাঞ্চলে ১৩টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপজাতিয় জনগোষ্টীর বসবাস থাকলেও এ উপজেলায় এদের মধ্যে ৬ টি জনগোষ্ঠির বাস। এদের মধ্যে ১৪ হাজার ৪৮৫জন মার্মা, ৫হাজার ১৯২জন ত্রিপুরা, ৮ হাজার ৭৭০জন মুরুং, ৭৮জন চাকমা, ১২৯জন তংচংগ্যা ও ২২১ জন খেয়াং সম্প্রদায় বসবাস করেন। তবে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বেশীর ভাগই খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহন করেছেন। এর সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ মাইলে ২৪৯ জন। উপজেলার শতকরা ৬৩.২৭ পরিবার কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। শতকরা ৫.৮৪ ভাগ লোক পশুপালন ও মৎস্য শিকার কাজে নিয়োজিত। শতকরা ১৫.৫৪ ভাগ কৃষি কাজের মজুর। অন্যান্য কাজে দিনমুজুর ৭.২৮ ভাগ। ব্যবসায়ী ৮.২৩ ভাগ এবং চাকুরীজীবি ৮.২৩ ভাগ। এ ছাড়াও উল্যেখযোগ্য মানুষ স্থানীয় বনাঞ্চলের উপর নির্ভরশীল। বন হতে গাছ, বাঁশ ও পাহাড়ের ঝিরির পাথর এবং পাহাড়ী ছড়ার বালি সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানের বেশিরভাগ মানুষ। উপজেলায় খাদ্যের চাহিদা রয়েছে ১৫১৬১.০০ মে.টন। উৎপাদন হয় ১৪১০৫.০০ মে.টন।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু জানিয়েছেন, পর্যটন, কৃষি, মৎস্য, হর্টিকালচার, গ্যাস, কয়লা, পাথর, বালু, ফলজ, বনজ ও রাবার শিল্পের অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে এ উপজেলায়। উল্যেখিত সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে পারলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে প্রতিবছর পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা, বন্যহাতির আক্রমণে প্রাণহানি এবং পাহাড় ধসে মানবিক বিপর্যয় এ উপজেলার সমস্যা। এসব সমস্যা সমাধানে তিনি সংশিস্নষ্ট মন্ত্রণালযের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
১৯২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর লামা থানা গঠিত হয়। ১৯৭০ সালের ৯ অক্টোবর আলীকদম, নাইক্ষংছড়ি, বাইশারী ও গজালিয়া থানাকে নিয়ে লামা মহকুমায় উন্নীত হয়। এর পর থেকে পরিচিতি, খ্যাতি, উন্নয়ন দিন দিন বৃদ্দি পেতে থাকে উপজেলার।
প্রশাসন বিকেন্দ্রিকরণের আওতায় দেশের সকল মহকুমাকে বিলুপ্ত করে জেলা ঘোষণা করার সরকারী প্রজ্ঞাপনে লামাকে জেলা ঘোষণা করা হলেও একটি মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে তা মাত্র ৩ দিন স্থায়ী হয়। পরে লামা জেলা উপজেলা পর্যায়ে একধাপ নেমে যায়। অপরদিকে, বাইশারী ও গজালিয়া থানা বিলুপ্ত হয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রুপান্তরিত হয়। এতে জনমনে ক্ষোভ ও হতাশার পাশাপাশি জনগন তাদের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়। এখন লামাকে জেলা হিসেবে পেতে চায় উপজেলার সর্বসত্মরের মানুষ।
বর্তমানে এ উপজেলায় ১৮টি মৌজা, ৭টি ইউনিয়ন এবং ৪৪০টি পাড়া ও ৪৪০ জন কারবারী রয়েছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ ও ১টি পৌরসভা রয়েছে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত লামা পৌরসভার কার্যক্রম। বর্তমান পৌর মেয়র হচ্ছে মো. জহিরুল ইসলাম। এতে আরও ৯জন পুরুষ ও ৩জন মহিলা কাউন্সিলর রয়েছে। ১জন চেয়ারম্যান, ২জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৭ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিয়ে গঠিত হয় লামা উপজেলা পরিষদ। বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী।
লামায় ৩টি ডাকঘর, ১টি থানা, ১টি টেলিগ্রাম অফিস, ১টি কুটির শিল্প, ৫টি পুলিশ ফাঁড়ি, ১টি বিজিবি ক্যাম্প, ১টি ফায়ার সার্ভিস, ১টি আনসার ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প, ২টি ডিগ্রি কলেজ, ১টি ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা, ২টি খাদ্যগুদাম, ১টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়, ১টি সড়ক ও জনপথ বিভাগ কার্যালয়, ৫টি বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা, ১টি সংরক্ষিত বনাঞ্চল, ১টি নদী, ৭টি খাল, ৭টি হাট বাজার, ১টি ৫০ শয্যা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ১টি সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ২টি শিল্প কারখানা, ১টি প্রাণী সম্পদ কার্যালয়, ১টি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, ৪টি টোব্যাকো কোম্পানীর এরিয়া অফিস, ৩টি মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানী, ১টি উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়, ১টি প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, ১টি রিসোর্স সেন্টার, ১টি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ১টি জেলা তথ্য অফিস, ১টি ভূমি অফিস, ৬টি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ৩টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ১০টি ক্লিনিক, ২১০টি সরকারী, বেসরকারী ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮টি জুনিয়র স্কুল, ৩টি হাই স্কুল এবং ৩৬টি দাখিল, এবতেদায়ী ও নুরানী মাদ্রাসা, ১৮২টি মসজিদ, ৪১টি কেয়াং, ৬টি মন্দির, ৩৭টি গীর্জা, ১টি উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিস, ১টি উপজেলা বিআরডিবি অফিস, ১টি যুব উন্নয়ন অফিস, ১টি উপজেলা সমাজ সেবা অফিস, ১টি শহর সমাজ সেবা, ১টি উপজেলা পরিবার পরিকল্পন অফিস, ১টি মৎস্য অফিস, ১টি মহিলা বিষয়ক অফিস, ১টি কৃষি অফিস, ১টি আনসার ও ভিডিপি অফিস, ১টি উপজেলা সমবায় অফিস, ১টি পরিসংখ্যান অফিস, ১টি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, ১টি নির্বাচন অফিস, ৪টি আশ্রয়ন প্রকল্প, ১টি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন অফিস, ১টি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ১টি পেট্রোল পাম্প, ৫৫৫টি পাওয়ার পাম্প, ১ হাজার ৮৮৩টি বসতঘর, ২৫৯টি গ্রাম, এনজিও স্কুল ৪৪০টি, কিন্ডার গার্টেন ৩টি, সিনেমা হল ২টি, সমবায় সমিতি ১৮৩টি, গ্রামীন ব্যাংক ২টি, ৬টি বীমা কোম্পানী, ১টি প্রেস ক্লাব ও ১টি রিপোর্টার্স ক্লাব রয়েছে। এখানে এনজিও‘র মধ্যে স্থানীয় এন.জেড একতা মহিলা সমিতি, গ্রাউস, ব্র্যাক, কারিতাস, আইডিএফ, আশা, স্পেস, তৈমু, বাপ্সা ও প্রদক্ষেপ এর কার্যক্রম রয়েছে। এছাড়া ইউএনডিপি, সিএইটিডিএফ ও কনসার্ন ইউনিভার্সেল এর কার্যক্রম চলছে।
এ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার জরিফে ৬-১০ বছর বয়সী ২৫ হাজার ৮৩৯ জন শিশু রয়েছে। এর মধ্যে ভর্তিকৃত শিশু হচ্ছে ২৫ হাজার ৪৫৯ জন। অভর্তিকৃত শিশুর সংখ্যা ৬-১০ বছর ৩৮০ জন। ভর্তিযোগ্য ৬-১০ বছর বয়সী ১৩৮ জন। বাকীগুলো অযোগ্য। অর্থাৎ এরা সকলেই শারিরীক, মানসিক প্রতিবন্ধি। বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৯%। ঝরেপড়া ২৫.৫০%। উপজেলায় শিক্ষিতের হার ৩০%।
লামায় প্রতিটি ২৫ একর করে ১৫শতটি রাবার বাগান ও সাড়ে ৭শ বিভিন্ন ফলফলাদির হর্টিকালচার বাগান রয়েছে। এসব রাবার বাগান থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমান রাবার উৎপন্ন হয়। যাহা জাতীয় রাজস্ব আয়ে ব্যাপক অবদান রাখছে।
তবে লামা`র সকল কার্যক্রমে শুরু থেকে এ পর্যন্ত(সময় অনুসারে) যাদের অবদান ছিলো তারা হলেন, লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ম্রা থোয়াই অং চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যা- আলহাজ মোঃ আলী মিয়া, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান- আলহাজ মোহাম্মদ ইসমাইল, সাবেক লামা পৌরসভার মেয়র- মোঃ আমির হোসেন ও সাংবাদিক এম রূহুল আমীন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.