রাঙামাটি বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে ধর্র্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মঙ্গলবার বৌদ্ধদের শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে রাঙামাটি পৌরসভার অর্থায়নে ১১ লক্ষ টাকা অর্থায়নে আসামবস্তী বুদ্ধাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধন ও বিহার সংলগ্ন কাপ্তাই হ্রদে উপর নির্মিত নব নির্মিত উপগুপ্ত মহাথেরোর মূর্তি উন্মোচন করেন রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী।
রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা আয়োজিত মধু পুর্নিমা ও বুদ্ধ প্রতিমূর্তি উদ্বোধনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দেশনা দেন আসামবস্তী বুদ্ধাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহার উপধ্যক্ষ করুনা ময় ভিক্ষু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিহার পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রণজিৎ কুমার বড়ুয়া। বক্তব্য রাখেন, বিহারের সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া, রাঙামাটি কোতয়ালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যজিৎ বড়ুয়া, বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রিটন বড়ুয়া, পৌর মহিলা কাউন্সিলর সোমা বেগম পূর্নিমা, বড়ুয়া কল্যাণ সংস্থার ধীমান বড়ুয়া, জল বুদ্ধ প্রতিমূর্তি নির্মান কমিটির আহ্বায়ক অলক চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে বিহার প্রাঙ্গণে বুদ্ধ মুর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার দানসহ নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এই মানসিকতা নিয়েই সকল ধর্মের মানুষকে দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি বলেন, ধর্মের প্রতি মানুষের অনুভুতি ও গভীর বিশ্বাস আছে বলেই সমাজে এখনো মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। বর্তমান সরকারের আমলে কোন বৈরিতা না করে সকল ধর্মের প্রতি সকলের শ্রদ্ধা ভালোবাসা আছে বলেই বর্তমানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর উন্নয়নে সরকারের উন্নয়নশীল প্রতিষ্ঠানগুলো সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। রাঙামাটি পৌরসভাও তার সীমিত সামর্থে সাহায্য করে যাচ্ছে। আসামবস্তি বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারে উপগুপ্ত মহাথেরর (জল বুদ্ধ) প্রতিবিম্ব স্থাপনে পৌরসভা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। তিনি আগামীতেও যতদুর সম্ভব শহরের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখবেন বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যজিৎ বড়ুয়া বলেন, বর্তমানে মানুষের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত হওয়ায় মানুষ কল্যাণের পথে এগোচ্ছে। এটা অত্যন্ত প্রসংশনীয়। তিনি বলেন, সমাজের শান্তি শৃংখলা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বজায় থাকলে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে। তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে প্রত্যেককে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।
এদিকে মধু পূর্নিমা উপলক্ষে মৈত্রী বিহারের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বধর্ম দেশনা দেন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ পূর্ন জ্যোতি মহাথরো, ত্রিপিটক বিশারদ পঞঞা দীপ মহাথেরো প্রমুখ। এর আগে বুদ্ধ মুর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার দানসহ নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ অংশ নেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.