রাঙামাটিতে ভয়াবগ পাহাড়ের ঘটনায় বৃহস্পতিবার এক মাস পুর্ণ হতে চলেছে। তবে এক মাস পেরোলেও আশ্রয় শিবিরের কেউ কেউ ফিলে গেলেও বাকীদের জন্য নতুন আশ্রয় শিবির খোলা হচ্ছে। যদিওবা ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের পূর্নবাসনের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি। প্রশাসনের মতে, সরকারীভাবে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে ক্ষতিগ্রস্থদের পূনর্রবাসন করা হবে।
জানা যায়, গেল ১৩ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি শহরের ভেদেভদী, যুব উন্নয়ন বোর্ড শিমুলতলী,রুপনগর, মুসলিম পাড়া,মোনঘর এলাকা,ওমদা মিয়া হিলসহ বিভিন্ন এলাকায় লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হন। এতে রাঙামাটি শহরের ক্ষতিগ্রস্থ ৭৪৪ পরিবারের জন্য ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ২শ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছেন। তবে আবহাওয়ার অবস্থার উন্নতি ঘটায় আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা কমিয়ে ১৫টি করা হয়েছে। এতে ২২শ জন নারী,শিশু ও পুরুষ আশ্রয়ে রয়েছেন। তাদেরকে আগামী ১৬ জুলাই থেকে নতুনভাবে খোলা ৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানন্তরিত করে পুর্ভের ন্যায় থ্রান সহযোগিতা খাদ্য দ্রব্য পরিবেশন ও নিবিড় স্বাস্থ্য পরিচর্চা নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।
রাঙামাটি সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রের টিম লিডার ছগির আহমেদ জানান, এ কেন্দ্রে ৮৫ পরিবারের মধ্যে বর্তমানে ৪৫ পরিবার রয়েছেন। মুলত যাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যায়নি তারাই বাড়ি ঘরে ফিরে গেছেন।
বিএডিসি আশ্রয় কেন্দ্রের টিম লিডার শেখ শুক্কর জানান, পাহাড় ধসের ঘটনার পর এ আশ্রয় কেন্দ্রে পাহাড়ী-বাঙালী মিলে মোট ৯৯পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে ৬৮টি পরিবার রয়েছে। চলে যাওয়া এসব পরিবারের মধ্যে অনেকেই আত্বীয়-স্বজনদের কাছে কিংবা যাদের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়নি তারা নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরে গেছেন। তিনি আরো জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পূর্নবাসনের ব্যাপারে কোন কথা বলা হয়নি। তবে আগামী ১৫ জুলাই পর তাদের অন্য আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করবে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ইফতিকার উদ্দীন আরাফাত জানান, রাঙামাটি শহরের ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২২’শ লোকজন রয়েছেন। ক্যাম্প সুবিধা ছাড়াও তারা বেসরকারীভাবে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান আশ্রিত লোকজনদের অন্য আশ্রয় কেন্দ্রে কবে নিয়ে যাওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে রাঙামাটি স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম ও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের নবনির্মিত ছাত্র হোস্টেলে স্থানান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য,গেল ১৩ জুন ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসে রাঙামাটি সদর,জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় দুই সেনা কর্মকর্তা ও তিন সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি শালবাগান স্থানে দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে রাস্তার মাটি ভেঙ্গে গিয়ে সারাদেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.