জুরাছড়ি সেনা জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল রাশেদ হাসান সেজান এসপিপি, পিএসসি বলেছেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর সেনাবাহিনী নিরবিচ্ছিন্নভাবে পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনজীবনকে আরও সুদৃঢ় করতে সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর।
মঙ্গলবার জুরাছড়ি উপজেলায় দ্বিতীয় হেডম্যান-কার্বারী সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জুরাছড়ি সেনা জোনের উদ্যোগে জোনের উদ্যোগের জোনের অধিদপ্তরের আয়োজিত দ্বিতীয়বারে আয়োজিত হেডম্যান-কারবারী সম্মেলন প্রধান অতিথি ছিলেন জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল রাশেদ হাসান সেজান। বনযোগীছড়া মৌজার হেডম্যান করুনা ময় চাকমার সবঅপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জোন উপ অধিনায়ক মুশফাক আমীন চৌধুরী। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মগবান মৌজার হেডম্যান সুজিত দেওয়ান, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা ও দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান শান্তি রাজ চাকমাসহ জুরাছড়ির ১১টি মৌজার হেডম্যান ও সংশ্লিষ্ট কাব্বারী (গ্রাম প্রধান) ও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সন্মেলনে অংশগ্রহণকারী হেডম্যান ও কারবারীদের মাঝে মেডিকেল ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ছাড়াও রক্ত পরীক্ষা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ট্যাবলেট ও প্রাথমিক চিকিৎসার উপকরণ বিতরণ করা হয়।
লেঃ কর্নেল রাশেদ হাসান সেজান আরো বলেন, পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জুড়াছড়ি জোন সদা প্রস্তুত এবং সকল জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি সকল সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহযোগিতা কামনা করেন। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী সদা সোচ্চার এবং পাহাড়ের চাঁদাবাজি বন্ধে বদ্ধপরিকর। এছাড়াও, সশস্ত্র গ্রুপের যেকোন কার্যক্রমকে রুখে দিতে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত।
তিনি বলেন, সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই জোন হতে নিয়মিত পাহাড়ি-বাঙালী জাতিবর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সমানভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি অনেকের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের কষ্ট লাঘবের নিমিত্তে এই জোন আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় ভারী বর্ষনের কারনে অনেক সময় ভূমিধ্বসের সৃষ্টি হয়। অবশ্যই সবাইকে নিজের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি নিরসনে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে৷ এছাড়াও, যেকোন দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, ইদানীং পরিলক্ষিত হচ্ছে কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি ভূয়া মোবাইল নম্বর হতে কল দিয়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার নিকট বিভিন্ন তথ্য জানতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর তথ্যের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হচ্ছে এবং বেসামরিক প্রশাসন ভুয়া কল দেওয়া ব্যক্তির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জুরাছড়ি জোন কর্তৃক যে সকল অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় সে সকল পেট্রোলকে সহযোগিতা করার জন্য জোন কমান্ডার হেডম্যান-কারবারিদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.