রাঙামাটির কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকার স্পীলওয়ে সংলগ্ন কর্নফুলী নদী থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা পুরুষ সাস্বার হরিণটিকে বাঁচানো গেল না। শুক্রবার (২৭ জুন) বিকাল ৫টায় কাপ্তাই রেঞ্জ কার্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হরিণটি মারা যায়। এরআগে একইদিন বেলা ২টার সময় কাপ্তাই পিডিবি এলাকার স্পীলওয়ে সংলগ্ন কর্ণফুলী নদী থেকে হরিণটি আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কাপ্তাই বনবিভাগ।
ঘটনায় সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙামাটি দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, ধারনা করা হচ্ছে, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্রীকফিল্ড এলাকার উত্তর পাশের গহীন জঙ্গলে বন্য কুকুর অথবা অন্য কেউ হরিণটিকে শিকার করার জন্য ধাওয়া করে। প্রাণ বাঁচাতে হরিণটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীলওয়ে সংলগ্ন নদীতে ঝাঁপ দেয়। খবর পাওয়ার পরই বন্য হরিণটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার সহ দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
কর্ণফুলী রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক ও শিক্ষানবীশ রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আবু কাউসার জানান, বন্য কুকুরের হাত থেকে বাঁচার জন্য হরিণটি পাহাড়ের চুড়া থেকে কর্ণফুলী নদীতে ঝাঁপ দেয় বলে মনে হচ্ছে। ওইসময় হরিণটি পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এঅবস্থায় কাপ্তাই রেঞ্জ কার্যালয়ে এনে একজন পশু চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোক করে হরিণটি মারা যায়। এধরণের সাম্বার হরিণ বিরল প্রজাতির হয়ে থাকে। যার ওজন প্রায় ১০০ কেজি এবং উচ্চতা আনুমানিক ৪ ফুট হতে পারে। তবে বন্য হরিণটির পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.