এবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার কমলেও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সংখ্যা বেড়েছে। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৭ জন শিক্ষাথী। যার পাসের হার ৫৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
জানা গেছে, রাঙামাটির দশ উপজলার ৮৩টি বিদ্যালয় থেকে রাঙামাটি জেলায় ৭ হাজার ৯৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছিল। ফেল করেছে ৩হাজার ৪৯৪জন। এতে পাসের হার ৫৫ দশমিক ৯৮শতাংশ। বরাবরের মতো এবারও জেলার বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে থেকে কাপ্তাই উপজলায় বাংলাদেশ নৌ বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ শতভাগ পাসের শীর্ষ আসনটি ধরে রাখতে সক্ষম হলেও ৪৭ জন শিক্ষাথী জিপিএ-৫ পেয়ে দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে। মোট ৬৫ জন শিক্ষাথী জিপিএ-৫ পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাঙামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৭ জন, রাঙামাটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯ জন, কাপ্তাই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯ জন, বাঘাইছড়ির কাচলং মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯জন, রাণী দয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭জন(সাধারন থেকে ১ ও ভোকেশনাল থেকে ৬ জন), লংগদু রাবেতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ জন, শাহবহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ জন এবং বাকী ১৫টি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১জন করে পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। গেল বছর এ পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ৭২ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৬৭ জন শিক্ষার্থী।
অপরদিকে,এ জেলায় দাখিলে ৫৫৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছে ১৭০জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। দাখিল মাদ্রাসার মধ্যে আল-আমিন ইসলামিয়া ফাসিল মাদ্রাসা থেকে সবচেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ শিক্ষার্থী। যার পাসের হার ৬৯দশমিক ৪৮ শতাংশ। জেলার ১৬টি ভোকেশনাল বিদ্যালয় থেকে ৮০৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছে ১৬২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। পাসের ৭৯দশমিক ৯৫শতাংশ। ভোকেশনালের মধ্যে রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
কাপ্তাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ হাসান জানান, এবছর কাপ্তাই উপজেলায় এসএসসিতে ১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৯৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬২৭ জন। এসএসসিতে পাশের হার ৬৫ দশমিক ৩১ ভাগ। মোট জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৬৯ জন। শতভাগ পাস করেছে কাপ্তাই নৌ বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(অতিরিক্ত দায়িত্বে) সরিৎ কুমার চাকমা জানান,এ বছর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দিক দিয়ে পাসের হার কমলেও জিপিএ-৫ বেড়েছে। এ জেলায় পাসের হার ৫৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.