পার্বত্যাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ফুলঝাড়ু এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। ফুলঝাড়ু বিক্রি করে পাহাড়ী-বাঙ্গালী শত শত পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে। তবে সরকারী উদ্যোগে পরিকল্পিতভাবে চাষাবাদ করা হতো তাহলে ফুলঝাড়ু রপ্তানি করে বছরে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সধারনত শীত মৌসুমে পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন জঙ্গলে প্রাকৃতিকভাবে ফুল ঝাড়ু ফুটে থাকে। একসময় এ অঞ্চলের বসবাসকারীরা নিজেদের গৃহস্থলীর জন্য ফূলঝাড়ু ব্যবহার করতো। কিন্তু বর্তমানে এ ফুলঝাড়ুর ব্যাপক চাহিদা ও কদর বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০ থেকে ১২ টি ফুল একত্রিত করে এক আঁটি ফুল দিয়ে একেকটি ঝাড়ু তৈরি করা হয়।স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব ফুলঝাড়ু কিনে শুকিয়ে শহরাঞ্চলে নিয়ে প্রতি আঁটি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করে থাকে। ঢাকায় এর দাম আরো বেশী বলে জানা গেছে। শুধু শহরাঞ্চল নয়, গ্রামেও এর কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ফুল ঝাড়ু বিক্রেতা কালচান চাকমা জানান, স্থানীয়ভাবে প্রতি আঁটি ফুলঝাড়– ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়। প্রতি মৌসুমে একেকটি পাহাড়ী পরিবার ৬০/৭০ হাজার টাকার ফুলঝাড়ু বিক্রি করে থাকে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সুমন তালুকদার বলেন, প্রতিদিন কয়েক ট্রাক ফুলঝাড়ু কাপ্তাই থেকে শহরাভিমুখে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ফুলঝাড়ু দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।
স্থানীয় পাইকার ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান,পার্বত্যাঞ্চলের ফুলঝাড়ু বর্তমানে দেশের সীমানা পেরিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রপ্তানি করা হচ্ছে।
কাপ্তাই রাইংখিয়ং মুখ বন শুল্ক ফাঁড়ির স্টেশন কর্মকর্তা দেবদাস মুখার্জী জানান, এক সময় ফুলঝাড়– পার্বত্যাঞ্চলের প্রতিটি পাহাড়ে জন্মে নিজ থেকেই নষ্ট হয়ে যেত। তখন ফুলঝাড়ুর ব্যবহার স্থানীয় এলাকা ব্যতিত অন্য কোথাও দেখা যেত না। তখন পার্বত্য এলাকা থেকে সামান্য সংখ্যক ফুলঝাড়ু চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া হতো। তখন প্রতি আঁটি ফুলঝাড়ুর রাজস্ব ছিল ৫ পয়সা মাত্র। বর্তমানে ফুলঝাড়ুর চাহিদা বৃদ্ধির কারনে প্রতি আঁটি ফুলঝাড়ুর রাজস্ব নির্ধারন করা হয়েছে ৩৫ পয়সা হারে।
তিনি আরো বলেন, যদি পরিকল্পিভাবে এর চাষ করা যেত তাহলে সরকার বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারত।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.