রোববার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) কাউখালী উপজেলা শাখার ১৬তম বার্ষিক শাখা সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে কাজল চাকমাকে সভাপতি ও চাইলাপ্র“ মারমাকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটি ঘোষনা করা হয়।
ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জন সংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় স্টাফ সদস্য উদয়ন ত্রিপুরা। পিসিপি কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি কাজল চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিসিপির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস চাকমা, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা, কাউখালী শাখার সাবেক সভাপতি হিরু চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক চম্পা ত্রিপুরা, জনসংহতি সমিতির কাউখালী শাখা সভাপতি সুভাষ চাকমা প্রমূখ। পিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক বাচ্চু চাকমা নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
সন্মেলনে সন্মেলনে উপস্থিত সকলের সম্মতিতে কাজল চাকমাকে সভাপতি ও চাইলাপ্র“ মারমাকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট্য দু’বছর মেয়াদের উপজেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সন্মেলনে বক্তারা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে জন সংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমার ঘোষিত আগামী ১ মে থেকে অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চুক্তি হচ্ছে জুম্ম জনগণের মুক্তির প্রথম ধাপ। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে জন্য প্রয়োজনে রক্ত দিতে প্রস্তুুত থাকতে হবে সবাইকে। সন্তু লারমার অনুসারিরা চুক্তির সময়ে অস্ত্র জমা দিলেও প্রশিক্ষণ জমা দেয়নি। প্রয়োজনে আবারো সংগঠিত হতে দ্বিধা করবেনা জুম্ম জনগণ।
বর্তমান সরকার পাহাড়িদের সাথে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠির মতোই আচরণ করছে এমন অভিযোগ তোলে বক্তারা আরও বলেন বলেন পার্বত্য চুক্তি সই করা আওয়ামীলীগ পাহাড়িদের সাথে প্রতারণা করে চলছে। সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারকে ‘আট আনা মন্ত্রী’ বলে মন্তব্য করে বক্তারা পাহাড়ের শীর্ষ ধনী কীভাবে হলেন তা খতিয়ে দেখার দাবী তোলেন। কোন পদপদবী না থাকা সত্বেও তিনি সরকারী গাড়ি আর পুলিশি প্রহরায় চলাফেরা করেন। মন্ত্রী না হয়েও পুলিশি প্রহরায় ও ‘প্রটৌকল’ দেয়া হচ্ছে পাহাড়ের মানুষ তা জানতে চায়।
তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের দ্রুত নির্বাচনের দাবী জানিয়ে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, জেলা পরিষদগুলো সরকারে আজ্ঞাবহ নেতাকর্মীদের দূর্ণীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। কাঠ ব্যবসার দালাল থেকে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে নিখিল কুমার চাকমা কী এমন আলাদিনের চেরাগ পেলেন যে, মাত্র ক’বছরেই কারিকারি সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন ?
বক্তারা পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএকে উল্টা পাল্টা দাঙ্গা ফৌজ বলে মন্তব্য করে অবিলম্বে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করারও দাবী জানান।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.