পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র ছূটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত পর্যটন শহর রাঙামাটি। ইতোমধ্যে শহরের হোটেল-মোটেলের অধিকাংশই রুম বকুড হয়েছে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক বিরাজ করলে এবার ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ঝুলন্ত সেতু পানিতে ডুবে থাকলেও পর্যটকদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটির প্রকৃতি নতুন রুপে সেজেসে। শুভলং ঝর্না তার পুরনো রুপ ফিরে পাওয়ায় অপরুপ সৌন্দর্য্যর অবলোকনসহ রাঙামাটির বর্ষার প্রকৃতির দৃশ্য অপন মনে উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসু পর্যটকরা ইটপাথুরের শহর ও যান্ত্রিকতার ক্লান্তি দূর করতে প্রতি বছর প্রকৃতির রাণী রাঙামাটির অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন। এ বছর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক বিরাজ করায় এবার ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে রাঙামাটি শহরের হোটেল-মোটেলের অধিকাংশই রুম বকুড হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটি সরকারী পর্যটন মোটেলের আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০সেপ্টেম্বর পর্ষন্ত সব রুম অগ্রিম বুকড হয়েছে। এ মোটেলে বর্ষা মৌসুম ও বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্ষন্ত পর্যটকদের জন্য শতকরা ২০ ভাগ ছাড় দেয়া হচ্ছে। অপর অন্যতম বেসরকারী হোটেল সুপিয়ায় ইতোমধ্যে শতকরা ৫০ ভাগের অধিক রুম বুকড হয়ে গেছে। এখন শুধু পর্যটকদের বরণ করে নেয়ার পালা।
এদিকে, রাঙামাটির অন্যতম আকর্ষন পর্যটন ঝুলন্ত সেতু কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে গত ২ আগস্ট থেকে সেতুটি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে ডুবে থাকায় তার সৌন্দর্য্য পর্যটকরা উপভোগ করতে না পারলেও হতাশ হওয়ার কারণ নেই। বর্তমানে এ বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটির প্রকৃতি নতুন রুপে সেজেসে। শুভলং ঝর্না তার পুরনো রুপ ফিরে পেয়েছে। তাই সবমিলিয়ে পর্যটকরা এবার রাঙামাটির প্রকৃতির সৌন্দর্য্য অপন মনে উপভোগ করতে পারবেন।
রাঙামাটি পর্যটনের আকর্যনীয় স্পটের মধ্যে রয়েছে,পর্যটনের ঝুলন্ত সেতু, শুভলং-এর মনোমুগ্ধকর ঝর্ণা, রাজ বন বিহার,জেলা প্রশাসনের বাংলো, বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধি সৌধ, বালুখালী কৃষি খামার, টুক টুক ইকোভিলেজ,সাংপাং রেস্টুরেন্ট এবং আদিবাসী শান্ত সবুজ গ্রাম ও তাদের জীবনযাত্রা। এছাড়াও রাঙামাটি শহরের বাইরে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের মনোরম পর্যটন স্পট, কাপ্তাই উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে উঠা আকর্যনীয় পর্যটন স্পট, কাপ্তাই জল বিদ্যূৎ উৎপাদন কেন্দ্র, কর্ণফূলী পেপার মিলস্ ও কাপ্তাই জাতীয় উদ্যোন ইত্যাদি।
হোটেল সুপিয়া সিইও সাইফুল ইসলাম(মুন্না) জানান, এবার ঈদ ছুটিতে শতকরা ৫০ ভাগ তার হোটেলে বুকড হয়েছে। এখনো পর্যটকরা বুকিং দিয়ে চলেছেন।
রাঙামাটি হোটেল ও মোটেল মালিক সমিতির যুগ্ন সম্পাদক ও হোটেল প্রিন্স-এর সত্বাধিকারী নেসার আহম্মেদ জানান, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক বিরাজ করায় অন্যান্য বছরের তুলানায় এ বছর রাঙামাটিতে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে আশা করছি।
রাঙামাটি সরকারী পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান,রাঙামাটি সরকারী পর্যটন মোটেলের আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০সেপ্টেম্বর সব রুম অগ্রিম বুকড হয়েছে। এছাড়া বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য বর্ষা মৌসুম ও বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্ষন্ত শতকরা ২০ ভাগ ছাড় রয়েছে।
তিনি আরও জানান, পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে দুই ফুট পানির নিচে রয়েছে। তবে এ ঝুলন্ত সেতুটি পানির নিচে থাকলেও বর্ষা মৌসুমে হওয়ায় রাঙামাটির প্রকৃতি নতুন রুপে সেজেসে। শুভলং ঝর্না তার পুরনো রুপ ফিরে পেয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এবার ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.