টানা ভারী বর্ষনে রাঙামাটি শহরের বিএডিসি কার্যালয় এলাকায় পাহাড় ধসে সোমবার এক শিশুসহ দুই জন আহত হয়েছে। ভারী বর্ষনে শহরের নার্সিং ইনষ্টিটিউ এলাকায় দেয়ালে ধস ও কাউখালীতে ছোট ডলু এলাকায় কালভার্ট ভেঙ্গে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, কয়েক দিনে টানা ভারী বর্ষনে সোমবার সকালের দিকে শহরের বিএডিসি কার্যালয় এলাকায় পাহাড় ধসে গিয়ে একটি কাঁচা ঘরে ঘরে গিয়ে পড়ে। ঘরের মধ্যে পরিবারের ৫জন থাকলেও দুজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন উদ্ধার আহতদের রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহতরা হলেন মোঃ জসিমের স্ত্রী রোজি আক্তার(৩৫) ও তার ছেলে মোঃ রানা(০৯)। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২৫ কেজি চাউল, নগদ তিন হাজার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া টানা বর্ষনে রাঙামাটি নার্সিং ইনষ্টিটিটের দেয়াল ধসে পড়ে ঘরের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউই আহত হননি। কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নে ছোট ডলু-বটতলী গ্রামীণ সড়কের কালভার্ট ভেঙ্গে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা বলেন, পাহাড় ধসে এক শিশু ও তার আহত হয়েছেন। ওই পরিবাকে খাদ্য শস্য ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে,কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জানায়, ভারী বর্ষনে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে ১০৪ দশমিক ৭১ ফুট মেইন সি লেভেলে(এমএসএল) পৌছেছে। বর্তমানে রুককার্ভ অনুযায়ী পানি থাকার কথা ছিল ৮৮ এমএসএল। পাঁচটি ইউনিট থেকে ২২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদে ক্রমান্বয়ে পানি বাড়ছে। এর সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়েছে। তবে চলমান ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.