ভারী বর্ষনের কারণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড় ধসের আশংকায় ইতোমধ্যে শিমুলতলী, লোকনাথ মন্দির এলাকা ও রুপনগর,নতুন পাড়ায় পাহাড়ে পাদদেশে ঝুকিপুর্ন অবস্থায় বসবাসকারীরা জেলা প্রশাসনের তিনটি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন দুই শতাধিক লোকজন।
জানা গেছে, টানা চার দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ঘটনা ঘটছে। রোববার দুপুরে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের কলাবাগান এলাকায় পাহাড় ধসে পড়লেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ তাৎক্ষনিকভাবে সড়ক থেকে ধসে পড়া মাটি অপসারণ করে যানবাহন চলাচল সচল রেখেছে। এছাড়া বর্ষনে রাঙামাটির বিভিন্ন সড়কে ছোটখাটো পাহাড় ধস হয়েছে। তবে এখনো সব কটি সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, টানা ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসের সম্ভানা থাকায় জেলা প্রশাসন ঝুকিপুর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে মাত্র তিনটি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ঝুকিতে বসবাসকারীরা। এগুলোর মধ্যে বিএম ইনষ্টিটিউট ভবনে ১২০ জন, বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রে ৬০ ও লোকনাথ মন্দির ভবনে ২০ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে রোববার দুপুর ১২টা পর্ষন্ত গেল ২৪ ঘন্টায় রাঙামাটিতে ১৪৩ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করেছে। এছাড়া শনিবার ২৪ ঘন্টায় ৭৭ দশমিক ২ মিলিমিটার রেকর্ড করেছে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দীপন চাকমা জানান, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের কলাবাগান এলাকায় পাহাড় ধসের পর পর সড়ক থেকে মাটি অপসারণ করে যানবাহন চলাচল সচল রাখা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.