টানা ভারী বৃষ্টিপাতে মঙ্গলবার রাঙামাটিতে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। দশ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে ২০৫টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের পাহাড় ধস হয়েছে। পানিতে ভেসে গিয়ে এক শিশুসহ ২জন নিখোজ রয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাতে রাঙামাটির দশ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে ২০৫টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের পাহাড় ধস হয়েছে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক হাজার ৮৪৭টি,বিভিন্ন সড়কের ৪৯টি স্থানে ভাঙন ও পাহাড় ধস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯টি কালভার্ট। ফসলী জমি ১২৫০ হেক্টর এবং ২হাজার ৩২৪ ঘর ও ৭টি বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। রবকল উপজেলায় পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে দুজন নিখোঁজ ও ৩ জন আহত হয়েছেন। জেলায় মোট ২৪৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে এ পর্ষন্ত ২হাজার ৩৬ জন নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে ৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে এ পর্ষন্ত ২হাজার ৩৬ জন নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে রাঙামাটি সদরে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে ৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৯শ শত নারী,শিশু ও পুরুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার রাঙামাটি শহরের সিভিল সার্জন বাংলো এলাকার আশপাশে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউই হতাহত হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এলাকার বসবাসরত ১৭ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরে নিয়েছে। তাছাড়া বিলাইছড়ি ১টি ইউনিয়নে ও জুরাছড়ি উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ পথে কর্ণফুলী নদীর রাইখালী অংশে ফেরির পল্টনে অতিরিক্ত পানি উঠে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সোমবার থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চন্দ্রঘোনা থেকে বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী- বান্দরবান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, ঝুকিপুর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস, স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা ঝুকিপুর্ন এলাকায় লোকজনদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার অব্যাহত রেখেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.