বান্দরবানের রুমা উপজেলার ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে(জেএসএস) জড়িত করে বম পার্টি খ্যাত তথাকথিত কেএনএফের বক্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জনসংহতি সমিতি।
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, গেল বুধবার কেএনএফের “জেএসএস সমর্থিত উগ্র মারমা নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে মারমা জনগণ কর্তৃক নিরীহ বম ও লুসাই জনগণের উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে কেএনএফ এর প্রতিক্রিয়া” শীর্ষক প্রেস বিজ্ঞপ্তির প্রতি জনসংহতি সমিতির দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। উক্ত প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে“রুমা বাজারে জেএসএস সন্ত্রাসীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিক্ষোভ মিছিলের এক পর্যায়ে বম সম্প্রদায়ের নিরীহ জনগণের উপর হামলা শুরু করে”। তথাকথিত কেএনএফের এ বক্তব্য সর্ববৈ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি কখনোই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। জনসংহতি সমিতি স্মরণাতীত কাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ¤্রাে, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখো, খুমী, চাক, গোর্খা, সাঁওতাল ও অহমিয়া প্রভৃতি জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, প্রতিক্রিয়ায় বিবৃত কেএনএ’র সাথে জেএসএস-এর বন্দুক যুদ্ধের অবতাড়নাও জাজ্জ্বল্য মিথ্যাচার বৈ কিছু নয়। এটা দিবালোকের মতো সকলের কাছে স্পষ্ট যে, কেএনএফের নির্বিচার গুলি বর্ষণে আহত উহ্লাচিং মারমা একজন নিরীহ গ্রামবাসী। এধরনের হঠকারী ও সাম্প্রদায়িক ঘটনার মধ্য দিয়ে কেএনএফ বান্দরবানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ ধরার হীন তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জনসংহতি সমিতি মনে করে।
--প্রেস বিজ্ঞপ্তি।