টানা বর্ষনের ফলে আতংকে আছেন পাহাড়ের বসবাসকারীরা। ঝুকি জেনেও বাধ্য হয়ে বসবাস করতে হয় তাদের। খাগড়াছড়িতে প্রায় ৩৫-৩৬ হাজার পরিবার কষ্ট আর ঝুকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাস করেন। প্রতি বছর বর্ষা এলেই টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন স্থানে ঘটে ছোট বড় পাহাড় ধসের ঘটনা। ঝুঁকি জেনেও কেবল পৌর শহরের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার এর বেশি পরিবার । বৃষ্টি বাড়লে ঘটে ছোট বড় পাহাড় ধসের ঘটনা । স্থানীয়রা বলছে বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তারা। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্নভাবে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন । এছাড়া খেøালা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।
সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও বেশ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বসত বাড়ি ধসে পরার শঙ্কা করছেন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীরা। বিশেষ করে শহরের সবুজবাগ,শালবাগান,কুমিল্লটিলা,কলাবাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধস হজওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বৃষ্টি বাড়লে এসব জায়গায় ধসের শঙ্কা করছে প্রশাসন।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের সর্তক থাকার পাশাপাশি ভারী বর্ষণের সময় অন্যত্র সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার। তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস ও দিয়েছেন তাঁরা।
খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার জানিয়েছে পৌর এলাকায় ৮টিসহ সদর উপজেলা মোট ১৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া জেলা সকল উপজেলায় পাহাড়ের বসবাসকারীদের সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রতিটি উপজেলায়ও খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে পৌর এলাকায় ৩০ টি ঝুঁকি পূর্ণ স্থানে ৩ হাজার ৫ শত পরিবার সহ পুরো জেলায় ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় ৩৫-৬৬ হাজার পরিবার ।
এদিকে পাহাড় ধস রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ হিসেবে পাহাড় কাটা বন্ধের ওপর আইন প্রয়োগ করার অনুরোধ করেছেন খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী।
---হিলবিডি২৪/সম্পদনা.এ,ই