রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের আলোচিত হাসিনা আক্তার সুমি হত্যায় জড়িত প্রধান আসামি মাহিবুর কামাল (২৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকালে কাপ্তাই থানায় সাংবাদিকের এক প্রেস ব্রিফিং এ জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদদ্ছাছের হোসেন এ কথা জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, হত্যার মাত্র আট দিনের মধ্যে পুলিশের বিশেষ তৎপরতায় সুমি হত্যার একমাত্র আসামি নেত্রকোনা জেলার মদনথানাধীন কাইটাইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রামের রাব-৭ এর বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসামি মাহিবুর কামালকে তার চাচার বাড়ি নেত্রকোনা থেকে গত শনিবার ভোর ৫টায় গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাহিবুর কাপ্তাই ইউনিয়নের জাকির হোসেন স` মিল এলাকার মুরগির টিলা এলাকায় বসবাস করে। পুলিশ সুপার আরো বলেন, প্রেম এবং বিয়ে প্রত্যাখ্যান নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কির ফলে পাথর দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে সুমিকে হত্যা করা হয়। সুমি ও মাহিবুর এক সময় মাদক ব্যবসা আদান প্রদান করতে করতে দু`জনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে মাহিবুর সুমিকে বিয়ের কথা বলে তার কাছ থেকে টাকা আদায়সহ তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরী হয়। ইতিমধ্যে মাহিবুরের পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয় রাঙ্গুনিয়ার রাণীর হাটে। চলতি মাসের ১৮ মার্চ বিয়ে করার কথা ছিল তার। ওই বিয়ের খবর জানতে পারে সুমি ও মাহিবুরের মধ্যে বিএফআইডিসি স্কুল মাঠে কথাকাটা কাটি হয়। এক পর্যায়ে দু`জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে মাহিবুর তার প্রেমিকা সুমিকে পাথর দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে হত্যা করে বলে জবানবন্দিতে সে জানায়।
এদিকে, মাহিবুর সুমিকে হত্যা করে বিএফআইডিসি প্রাইমারি স্কুলের পরিত্যক্ত টায়লেটের ভিতর লুকিয়ে রেখে সে গ্াঁজা ও সিগারেট টানে। এক পর্যায়ে সুমিকে মুখে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় বলে সে জানায়। সে একাই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জবানবন্দী দেয় বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ কাপ্তাই বিএফআইডিসির প্রাইমারি স্কুলের টয়লেট থেকে হাসিনা আক্তার সুমির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর সুমির মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫ জনের বিরুদ্ধে কাপ্তাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.