রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী ইউনিয়নের পূর্ব কোদালার ষাটতলী এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত অবৈধভাবে পাহাড়কেটে বালু উত্তোলনের দায়ে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা ও জব্দকৃত সরঞ্জাম নিলামে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। সোমবার কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পাচারের খবর পেয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান ও কাপ্তাই ৪১ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালান। এসময় বালু উত্তোলনকারী চক্রটি ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। অভিযানের সময় চন্দ্রঘোনা থানার এএসআই মোঃ ইকবাল হোসেনসহ বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা এ অিভিযানে অংশ নেন। পরে বালু তোলার ৩টি ড্রেজার মেশিন, সাড়ে ৪শ` ফুট পাইপ, ১৫ লিটার ডিজেল এবং ২টি স্তুপে ১৩ হাজার ঘনফুট বালু উদ্ধার করা হয়। পরে জনসম্মুখে বালি তোলার পাইপ ধ্বংস করা হয় এবং জব্দকৃত ড্রেজার মেশিন, বালি ও ডিজেল উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। পাশাপাশি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ৪ ধারা লংঘনের অপরাধে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাব্বির আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন যাবত কর্তৃপক্ষের অগোচরে অভিনব পদ্ধতিতে একটি সিন্টিকেট বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছে এবং নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংস করছিল। আজকে আমরা বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় বিজিবির সদস্যদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্ব পালন কারী কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, অনেকদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ছড়া, পাহাড় ও কৃষিজমি কেটে বালু উত্তোলন করে আসছে,যা আইনত সম্পূর্ণ অবৈধ। আশেপাশের কৃষি জমি গুলোও নষ্ট হচ্ছে,পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.