খাগড়াছড়িতে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে না হতেই ৪ মাসের মাথায় ধসে গেছে ৫৪ লাখ সড়ক রক্ষার প্রকল্প। এতে খাগড়াছড়ি জেলার সিন্দুকছড়ি - লক্ষীছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরকারি অর্থ গচ্চা গেলেও ঠিকাদার ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এলজিইউডি বলছে ভিন্ন ভিন্ন কথা আর দ্রুত সড়কটি মেরামত করার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এই সড়কে প্রতিদিন প্রায় ১৫- ২০ হাজার মানুষের যাতায়াত করে। পাহাড়ি রাস্তার সড়কটি রক্ষায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলমেন্ট ব্যাংক এর অর্থায়নে ৫৪ লক্ষ টাকায় সড়কের ভাঙন রোধে বল্লি (খুঁটি) প্যালাসাইডিং প্রকল্প শুরু করে এলজিইডি। এর মধ্যে প্রকল্প বস্তাবায়ন করার পর বিল উত্তোলন করে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এপ্রিল মাসের প্রকল্পে কাজ শেষ হওয়ার ৪ মাস না যেতেই বল্লি (খুঁটি) প্যালাসাইডিং ধসে যেতে শুরু হয়। ভেস্তে যায় সড়ক রক্ষা প্রকল্প। সড়কের লাগায়ো খালে বিলীন হয়ে গেছে জিও ব্যাগ,হেলে গেছে বল্লি (খুঁটি)। সড়কের দুই স্থানে ধসে গেছে প্রায় ১শ ২০ ফুট পাকা সড়ক। আর বৃষ্টি হলেই সড়কের বাকি অংশ ধসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,‘সরকারি অর্থে প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পরও সড়কটি ধসে গেছে। প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে এভাবে খালে মধ্যে রাস্তা বিলীন হত না।
সিন্দকছড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য নীল কুমার চাকমা বলেন লক্ষীছড়ি-সিন্ধুকছড়ি সড়কের দেবালছড়ি ও বাশ পাড়া এলাকায় রাস্তা ধসে যাওয়াতে এলাকার লোকজনের চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে এই সড়কে মোটরসাইকেল,সিএন্ডজি,বড় গাড়ী যাতায়ত করে। এছাড়া লক্ষীছড়ি,গুইমারা, সিন্ধুকছড়ি বাজারে মালামাল আনা নেয়া করে এখানকার লোকজন তাই এটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
৩ নং সিন্দুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেদাক মারমা বলেন ভারী বৃষ্টির কারনে যে রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। ফলে লোকজনের চলাচলের অসুবিধা সুষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি এলজিইডি কে জানিয়েছেন। এলজিইডি দ্রæত মেরামত করবেন বলে তাকে জানিয়েছে। তিনি আশা করেন কাজটি দ্রæত মেরামত করবে এলজিইডি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেলিম এন্ড ব্রাদার্স এর তত্তাবধায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক ফোনে বলেন আমরা বলেছি বল্লি (খুঁটি) প্যালাসাইডিং না করে এমএস পাইপ দেয়ার জন্য । কিন্ত ওরা (এলজিইডি) দিয়েছে বল্লি। বল্লি ৫-৭ ফুটের বেশি ভিতরে যায় না। আমরা কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলাম তারপরও তারা অনুরোধ করেছে বল্লি দিয়ে করে দেয়ার জন্য এবং নষ্ট হওয়ার দায়ভার এলজিইডির কর্মকর্তারা নেন। এই নিয়ে তিনবার কাজ করেছি তারপরও কাজটা ঠিকছে না।
তবে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শাহজাহান বলেছেন পাহাড়ী এলাকা, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে ঘটেছে। এখানে প্রকল্প অনুযায়ী কাজ হয়েছে। কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে ভূমি ধস হয়েছে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি মেরামতের জন্য এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। বিশেষজ্ঞ টিম সড়কটি পরির্দশন করে যেই পরামর্শ দেবেন সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।
---হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/এ,ই