খাগড়াছড়ি-পানছড়ি উপজেলার প্রধান সড়কে শুকনাছড়ি ছড়া। বর্ষার মৌসুমে ছড়ার দুই পাশের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে কৃষিজমি, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভেঙে যেতে পারে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি প্রধান সড়কের কালভার্টটিও। এটি মূলত খাগড়াছড়ি জেলার-পানছড়ি উপজেলার ৪নং লতিবান ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নালকাটা এলাকায়। ছড়াটির দুই পাশের ধান্য জমিগুলো ভেঙ্গে পড়তে পড়তে একটি বড় খালে পরিণত হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী স্থানীয়দের।
বর্ষা মৌসুমে পানি বাড়ায় পানির স্রোতে শুকনাছড়ি ছড়ার ছোট নালাটির দুই পাশের কৃষি জমি গুলো ভেঙ্গে গিয়ে ছড়াটি এখন খালে পরিণত হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা-পানছড়ি উপজেলার প্রধান সড়কে শুকনাছড়ি নামক ছড়ার উপর নির্মিত বক্স কালভাটটি ও হুমকির মুখে। কালভাটটির নিচের দিকে ছড়ার দুই পাশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। তীব্র ভাঙনে এরই ছড়ার দুই পাশের অনেক কৃষিজমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রধান সড়কের কালভাটটি, দোকানঘর, নালকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাসহ বেশ কিছু কৃষি জমির অংশ।
স্থানীরা জানান, গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শুকনাছড়ি ছড়া। ছড়াটির দুই অংশে দুই ধরনের। খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের পূর্ব পাশের্^ ছোট্ট ছড়া আর পশ্চিম পাশের্^ অর্থাৎ কালভাটটির পর থেকে ছড়াটি দুই পাশের্^র কৃষিজমি ভেঙ্গে গিয়ে খালের মতো হয়েছে। এবারের বর্ষায় আরো ভাঙ্গবে বলে জানান স্থানীয়রা। এই ছড়ার দুই পাশের অনেক কৃষি জমি বিলীন হয়ে গেছে অনেক আগেই। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধ করা না গেলে অচিরেই হয়তো আরো অনেক কৃষিজমি খালে বিলীন হয়ে যাবে। জমি বিলীন হয়ে অসহায় হয়ে পড়বে কৃষককেরা। তাই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান স্থানীয়রা।
৪নং লতিবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিরণ ত্রিপুরা জানান, খাগড়াছড়ি-পানছড়ির প্রধান সড়কের পাশে শুকনাছড়ির ছড়াটা। এর উপরে নির্মিত আছে একটি কালভার্ট। দিন দিন ভেঙ্গে গিয়ে অনেক ধান্যজমি বিলিন হয়ে গেছে, দ্রæত পদক্ষেপ না নিলে আরো বিলিন হয়ে যাবে অনেক কৃষি জমি সাথে প্রধান সড়কের কালভাটটি ও। তিনি সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও সড়ক ও জনপদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের আশু পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন সড়ক বিভাগ থেকে সড়ক ও কালভাটটির এপ্রোজ রক্ষা করার জন্য তারা সড়ক বিভাগ থেকে কাজ করেছেন। তবে এই খালটাকে রক্ষা করতে হলে তিনি মনে করেন সংশ্লিষ্ট ডির্পাটমেন্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড বা এলজিইডিকে এগিয়ে আসতে হবে।
পানছড়ি উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব প্রাপ্ত চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা বলেন, মূলতঃ বিষয়টি আসলেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বা এলজিইডি মাধ্যেমে ভাঙ্গন রোধ করবেন বলে জানান।
---হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সি,আর