রাঙামাটির সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের ধনপাতা সাধনা বনবিহারে দুদিন ব্যাপী ১৬তম কঠিন চীবর দান বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে।
বিহার প্রাঙ্গনে ধর্মীয় আলোচনা সভায় ধর্ম দেশনা দেন বৌদ্ধরতœ উপাধিপ্রাপ্ত ও বনভান্তের প্রধান শিষ্য শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির। এসময় অন্যান্য ভিক্ষুদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, দীঘিনালা বনবিহার আবাসিক সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ শুভবর্ধণ মহাস্থবির, ধুতাঙ্গটিলা বনবিহারের বিহার অধ্যক্ষ দেবধাম্মা মহাস্থবির, পারমী বৌদ্ধ বিহারের ধর্মানন্দ স্থবির,ধনপাতা সাধনা বনবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ নতুন বংশ ভিক্ষুসহ অন্যান্য প্রমূখ ভিক্ষু সংঘ।
এতে বিহার পরিচালনা কমিটির উপদেষ্ট স্বপন দত্ত চাকমা অনুষ্ঠান পরিচালনায় পঞ্চশীল পাঠ করেন কিরণ ময় চাকমা। বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন কাকলী চাকমা ও স্নেহা চাকমা (রায়া)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা সভাপতি ও ১১৮ নং ধনপাতা মৌজার হেডম্যান রূপায়ন চাকমা ও বিহার পরিচালনা উন্নয়ন কমিটির কিরণ ব্রত চাকমা।
অনুষ্ঠানে গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত নিয়মে তুলা থেকে সুতা ও সুতা থেকে চীবর (ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র) বুননের মধ্যদিয়ে বুদ্ধপুজা, বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর দান পঞ্চশীল প্রার্থনা, সুত্রপাঠ, ধর্মীয় দেশনা, কল্পতরু প্রদক্ষিণ ও ফানুষ বাত্তি উৎসর্গসহ নানাবিধ দান সম্পন্ন করা হয়।
ধর্ম দেশনায় বন ভান্তের প্রধান শিষ্য ভদন্ত শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির বলেন, পৃথিবীতে ধনী কিংবা গরীব কেউ প্রকৃত সুখী নন। ধন সম্পদে প্রকৃত সুখ লাভ করা যায় না। ধন সম্পদে ভরপুর,কোনো অভাব নেই এমন ব্যক্তি যদি পাপকর্মে লিপ্ত থাকে তাহলে ধনী হয়েও সার্তকতা থাকে না। প্রকৃত শীলবান, জ্ঞানীবান ব্যক্তিই প্রকৃত সুখী।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.