দেশের বৃহত্তম বৌদ্ধ মন্দির রাঙামাটির রাজ বন বিহারে প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৃহস্পতিবার থেকে দুদিন ব্যাপী ৪৮তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
রাজ বন বিহার পাশে অবস্থিত বিকালে প্রথম দিনে পুন্যবতী উপাসিকা বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চরকা সূতা কাটা থেকে কাপড় তৈরীর স্থান বেইন ঘর উদ্ধোধন করেন বন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান। এছাড়া চরকায় তুলা থেকে সূতা কাটা উদ্ধোধন করেন তাঁত শিল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা মঞ্জুলীকা চাকমা। এর আগে বেইন ঘরে আগত পুর্নার্থীদের পঞ্চশীল প্রার্থনা প্রদান করেন রাঙামাটি রাজ বন বিহারের ভিক্ষু-সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তিন পার্বত্য জেলা থেকে বিপুল বৌদ্ধ পূনার্থীর সমাগম ঘটেছে। অনুষ্ঠানে পুলিশের পাশশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দারা মাঠে রয়েছেন।
এবার বেইনের মাধ্যমে সেই সূতা, কাপড় বুনন, রং ও সেলাই করে চীবর তৈরীতে দুই শতাধিক বেইনে প্রায় কয়েক হাজার পূর্নার্থী সারারাত চীবর প্রস্তুত করবেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ চীবর তৈরী করে শুক্রবার বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠানিকভাবে ভিক্ষু সংঘের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত আড়াই হাজার বছর আগে ভগবান গৌতম বুদ্ধের সময় মহাপূর্নবতী বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত ২৪ ঘন্টার মধ্যে সূতা কাটা শুরু করে কাপড় বয়ন, সেলাই ও রং করাসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয় বলে কঠিন চীবর দান হিসেবে অভিহিত করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.