বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাঙামাটিতে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন সন্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ স্নেহ কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা জামান, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রুহি বণানী প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য দেন মেডিকেল অফিসার ডা: সুশোভন চাকমা। প্রজেক্টরের মাধ্যমে যক্ষার উপর বিভিন্ন ক্ষতি ও চিকিৎসা সম্পর্কে আলোকপাত করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ বিনোদ শেখর চাকমা।
এর আগে শহরের রিজার্ভ বাজার চৌমুহনী থেকে র্যালীটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্র্যাকসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগন অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দুইটি বড় প্রতিষ্ঠান রাঙামাটিতে স্থাপিত হয়েছে এটা রাঙামাটিবাসীর জন্য বিরাট প্রাপ্তি। আমাদের শিক্ষার্থীরা এখানে থেকেই উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ নতুন নতুন উদ্ভাবন সৃষ্টি করে জেলার ভাবমূর্তী অক্ষুন্ন রাখবে এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, অতীতে সকলে মনে করতো যক্ষা হলে সেই লেকের নিশ্চিত মৃত্যু ঘঠবে। তার আর বাঁচার কোন অবকাশ নেই। তিনি বলেন, যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ের জন্য কফ পরীক্ষ ও চিকিৎসা বনিামূল্যে প্রদান করা হয়। সরকারের এনটিপি ও সহযোগী সংস্থার কর্মীরা রোগীকে বিনামূল্যে ঔষুধ ও পরামর্শ সেবা দিচ্ছে। মাঠকর্মীরা রোগীর বাড়িতে গিয়ে ওষুধ খাইয়ে আসছে। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখন যেটা প্রয়োজন, সেটা হল তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণ বাড়ানো।
স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সকল বার্তা দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দিতে তিনি স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজসহ প্রতিটি সচেতন মানুষকে আহ্বান জানান। তিনি যক্ষাআক্রান্ত ব্যাক্তিদের যেখানে সেখানে হাঁচি-কাশি ও মলমূত্র ত্যাগ না করারও আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.