রাঙামাটির লংগদু উপজেলার উত্তর ইয়ারেংছড়ির রেংকাচ্ছে এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে এমএন লারমা গ্রুপের(সংস্কারপন্থী) জনসংহতি সমিতির এক কর্মী নিহত হয়েছেন। তার নাম স্নেহাশীষ চাকমা ওরফে ভাগ্যধন। বৃহস্পতিবার সকালের লংগদু থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
এদিকে এ হত্যাকান্ডের জন্য সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিপক্ষ সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে(জেএসএস) দায়ী করলেও তারা জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গেল গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতির সক্রিয় কর্মী স্নেহাশীষ চাকমা ওরফে ভাগ্যধন(৪০) রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আঠারক ছড়া ইউপির উত্তর ইয়ারেংছড়ির রেংকাচ্ছে এলাকায় সাংগঠনিক কাজে গিয়ে ছিলেন। তিনি ওই এলাকায় একটি বাড়ীতে রাতে অবস্থান করার জন্য হেটে যাচ্ছিলেন। এসময় আগে থেকে ওৎ থেকে পেতে থাকার এক দল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলে স্নেহাশীষের মৃত্যু হয়। নিহত স্নেহাশীষ সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতির কালেক্টর হিসেবে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে লংগদু থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে।
এদিকে সংস্কারপন্থী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ তথ্য ও প্রচার বিভাগের সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা এ ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষ সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন।
তবে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির লংগদু উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মনি শংকর চাকমা এ হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, সংস্কারপন্থী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধের কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তার দলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এ হত্যাকান্ডের সাথে তার দলের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয় এবং এ ধরনের হত্যাকান্ডের তার দল বিশ্বাসী নয় বলে তিনি দাবী করেছেন।
লংগদু থানার ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশকে খবর দেয়ার পর লাশ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে গেছে। তবে ঘটনাস্থলটি লংগদু ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় লাশ কোন থানায় নিয়ে যাওয়া হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.