দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মন্দির রাঙামাটি রাজবন বিহারের হাজারো বৌদ্ধ পূনার্থীদের অংশ গ্রহনের মধ্য দিয়ে শুক্রবার দুদিন ব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব সমাপ্ত হয়েছে।
রাঙামাটি রাজ বন বিহার প্রাঙ্গনে আয়োজিত ৪৫ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনকারী পূর্নার্থীদের উদ্দেশ্য ধর্মীয় দেশনা দেন রাঙামাটি রাজ বিহারের ভিক্ষু-সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরসহ অন্যান্য ধর্ম গুরুরা। অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন রাঙামাটি আসনের সাংসদ উষাতন তালুকদার,চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন রাঙামাটি রাজ বন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ান। এছাড়া অনুষ্ঠানে রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়রর জেনারেল রিয়াদ মাহমুদ,জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর, রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী,রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমাসহ অন্যান্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শুরুতে ধর্মীয় সংগীত পরিবেশ করা হয়। এরপর ভিক্ষু-সংঘের উদ্দেশ্য চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় পঞ্চলশীল প্রার্থনা করেন। এতে পঞ্চশীল, অষ্টশীল ,বৌদ্ধ মূর্তি ও কঠিন চীবর উৎস্বর্গের পর মহাপূর্নবর্তী বিশাখা প্রবর্তিত ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৈরীকৃত কঠিন চীবর চাকমা রাজা রাজ বন বিহারের প্রধানের উদ্দেশ্য প্রদান করেন। এর আগে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৈরীকৃত কঠিন চীবর ও মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্ত রাজ বন বিহারের অধ্যক্ষ সাধনানন্দ মহাস্থবির(বন ভান্তে) প্রতিমূর্তি মঞ্চে নিয়ে প্রধান আসনে বসানো হয়।
অনুষ্ঠান শেষে বনভান্তের রেকর্ডকৃত ধর্মদেশনা বাজানো হয়। অনুষ্ঠানে তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও কয়েকটি দেশের বৌদ্ধ পূর্নার্থীসহ লাখো মানুষের সমাগম ঘটে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.