পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে শুক্রবার রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলার সর্ববৃহৎ জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বুধবার রাঙামাটি জেলা গাউছিয়া কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা গাউছিয়া কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবু সৈয়দ। এসময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মাহবুব এলাহী শিকদার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা গাউছিয়া কমিটির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাওলানা শফিউল আলম আল-ক্বাদেরী, হাজী মোঃ মুছা, হাজী মোঃ নাছির উদ্দিন, হাজী মোঃ আবদুল করিম খান ও হাজী মোঃ জসীম উদ্দিন। এছাড়াও গাউছিয়া কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, প্রতি বছরের ন্যায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করা হচ্ছে জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)। এবারের জুলুছে গেল বছরের চেয়ে দ্বিগুন লোক সমাগম হবে বলে জানান তারা। রাঙামাটির প্রায় প্রতিটি উপজেলা থেকেও লোকজন জুলুছে অংশ গ্রহণ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
১৬ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদ থেকে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুছ শুরু করে প্রেসক্লাব, দোয়েল চত্বর, কাঠালতলি, পৌরসভা হয়ে বনরূপা জামে মসজিদে সমাপ্ত হবে। এই জুলুছে শহরের তবলছড়ি, কলেজ-গেইট, ভেদভেদি, মানিকছড়িসহ জেলার প্রত্যন্ত উপজেলা থেকেও শত শত মুসলমান যোগদান করবে।
এবারের জুলুছে কি পরিমান মানুষের উপস্থিতি হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবু সৈয়দ জানান, প্রতিবছরই জুলুছে লোক সমাগম বাড়ছে। এবারের জুলুছে দশ হাজারের অধিক লোক সমাগম হবে বলে জানান তিনি। রাঙামাটির প্রায় প্রতিটি উপজেলা থেকেও লোকজন জুলুছে অংশ গ্রহণ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, প্রিয় নবীজি (সাঃ)-এর শুভ জন্মদিন অর্থাৎ ঈদে মিলাদুন্নবী(সাঃ) উপলক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৪সালে রাসুলে পক(সাঃ)-এর বংশধর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ(রহঃ) প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামী সংস্কৃতির অনন্য নির্দশন জশনে জুলুছ (বর্ণাঢ্য ধর্মীয় র্যালী)।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.