বান্দরবানের লামায় দুই আদিবাসী কিশোরী ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায় বিচার, অভিযুক্তদের অচিরেই গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে নারী ও মানবধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক সমন্বয়কারী ফাল্গুনী ত্রিপুরার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এ তথ্যে জানানো হয়েছে।
প্রেস বার্তায় বলা হয়, মঙ্গলবার ঢাকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক রীনা রায়। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সহ-সভাপতি ও নাট্যজন আফরোজা বানু, জনউদ্যোগের আহ্বায়ক ড. মুশতাক কামাল ও সদস্য সচিব তারিক হোসেন মিঠুল ও কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, আইন ও সালিশ কোন্দ্রের হাসিবুর রহমান সূর্য, ব্লাস্টের অটুট আরেং ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের শরীফ চৌহান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব চঞ্চনা চাকমা।
মূল বক্তব্যে বক্তারা দুই আদিবাসী কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার দাবি জানান। এই দাবী জানানো হয়েছে।
প্রেস বার্তায় বলা হয়, গেল ২২ আগস্ট বান্দরবান জেলার লামা থানাধীন ০৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ডের রাংগতি পাড়া সাকিনস্থ বলিচন্দ্র ত্রিপুরার সেগুন বাগানের ভিতর দুই আদিবাসী ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি নাগরিক প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা থানার ওসি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কার্বারী, ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সাবেক সভাপতি, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের দুইজন সদস্য, স্থানীয় সংবাদ প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাত করেন।
সংবাদ সন্মেলনে নাট্যজন আফরোজা বানু বলেন বান্দরবানের লামার দুই কিশোরী ধর্ষণের ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমরা আশা করব যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সময়ক্ষেপন না করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হোক।
পল্লব চাকমা সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে ওখানকার বাস্তবচিত্র তুলে এনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তথ্যগুলো জাতীয় পর্যায়ে উপস্থাপন করছেন।
ডা.মুশতাক হোসেন বলেন , বাংলাদেশের নারী ও কন্যা শিশুদের যৌন সহিংসতা আশংকাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। তাই সরকার যাতে এর দ্রুত বিচার এবং অপরাধীদের গ্রেফতার পদক্ষেপ গ্রহন করে সেই দাবী জানান। এই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যদি বন্ধ করতে হয় তাহলে ঘটনার আসামীকে চিহ্নিত করতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.