বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভূয়া ও মিথ্যা মামলার যে সাজা দিয়েছে সেটি আদালতের নয়, সরকারের। এমন অভিযোগ করে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, সরকার অবৈধ দখলদারিত্ব বজায় রাখতে চায় বলেই এ সাজা দিয়েছে। কারণ অবৈধ দখল দারিত্বের একমাত্র বাঁধা হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া।
সোমবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কলাবাগান এলাকায় মিল্লাত চত্ত্বরে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আগামি নির্বাচনের আগে আন্দোলন করে এই সরকারের পদত্যাগ করাতে বাধ্য করতে হবে। নিরপেক্ষ ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে বিএনপি বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারে আসতে পারবে।
বর্তমান সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা দূর্নীতি করেছে এমন অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের এ উপদেষ্টা বলেন, এ সরকারের এই লুটপাটের জন্য এক সময় বিচার হতে হবে। সে বিচারের আওতায় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে জড়িত এমপি মন্ত্রীদের সবার বিচার হতে হবে এবং তাদের জায়গা হবে নিজাম উদ্দিন রোডের কারাগারে।
এসময় ৩২ ধারাকে ভয়ংকর ও ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধারার মাধ্যমে সাংবাদিকদের লেখার বিন্দুমাত্র যে স্বাধীনতা ছিলো তা হরণ করা হয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে খাগড়াছড়িতে আসেন মাহমুদুর রহমান। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক খাগড়াছড়ি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের বেলবন্ড জমা দেন মাহমুদুর রহমান। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক জয়নাল আবেদিন তার বেলবন্ড গ্রহণ করেন।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি মাহমুদুর রহমান-কে ৮ সপ্তাহের অর্ন্তবর্তী কালীন জামিন দিয়ে নিম্ম আদালতে হাজির হয়ে বেলবন্ড জমা দেয়ার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত গেল বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রেজওয়ান সিদ্দিক সম্পর্কে কটুক্তির অভিযোগ করে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বিশ্বজিত রায় দাশ, ১ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন মাহমদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.