শনিবার খাগড়াছড়িতে ককবরক-বাংলা দ্বিভাষিক ছড়ার বই চিনি এমাংনি হা (আমাদের স্বপ্নের দেশ)-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি আলো কনফারেন্স হলে ত্রিপুরা ভাষার (ককবরক) কবি উন্নয়নকর্মী মথুরা বিকাশ ত্রিপুরার ককবরক-বাংলা দ্বিভাষিক ছড়ার বই চিনি এমাংনি হা (আমাদের স্বপ্নের দেশ)-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা। উন্নয়ন সংগঠক অরুন কান্তি চাকমার সভাপতিত্ব আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি সম্মাননা প্রাপ্ত লেখক-গবেষক প্রভাংশু ত্রিপুরা, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রনিক ত্রিপুরা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি রানী ত্রিপুরা।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বি. আর. খান, উন্নয়নকর্মী দয়ানন্দ ত্রিপুরা, লেখক প্রার্থনা কুমার ত্রিপুরা, লেখক-গবেষক সুযশ চাকমা, নারী নেত্রী শাপলা দেবী ত্রিপুরা, নারী নেত্রী লালসা চাকমা, নারী নেত্রী শেফালীকা ত্রিপুরা, কবি ও নাট্যকার অলিন্দ্র লাল ত্রিপুরা, শিক্ষক সংগঠক সত্য প্রকাশ ত্রিপুরা, জাতীয় সম্মাননা প্রাপ্ত শিক্ষক চন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা, সমাজকর্মী ধীমান খীসা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রনিক ত্রিপুরা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি রানী ত্রিপুরা, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক-গবেষক-সংস্কৃতিকর্মী প্রভাংশু ত্রিপুরা ও প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা।
বইয়ের মোড়ক উন্মোচনশেষে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্যেদেন বইয়ের লেখক ছড়াকার মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
বইয়ের লেখক ছড়াকার মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, আমার শ্রম তখনই সার্থক হবে যখন এই ছড়াগুলো শিশু ও তাদের অভিভাবকদের কাছে সমাদৃত হবে। শিশুরা খেলতে খেলতেই শিখবে, যাতে লেখাপড়া তাদের বিনোদনের অংশ হয়। শিশুদের এই মনোজগতের দিক বিবেচনা করে প্রতিটি ছড়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কিছু ছবির স্কেচ দেওয়া হয়েছে। শিশুরা ছড়া শুনতে শুনতে তাদের মনের মতো করে স্কেচগুলোতে রং করতে পারবে।
বিশেষ অতিথি প্রভাংশু ত্রিপুরা বলেন, শক্তিমান লেখক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরার প্রতিটি লেখা সমাজ সচেতনতামূলক নানা অনুষঙ্গে ভরপুর। এই ছড়ার বইটিও শিশুদের মনোজগতে সৃষ্টিশীল চেতনা বিকাশে সহায়তা করবে বলে আশা করি। সরকার যে মুহুর্তে আদিবাসীদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে, সেই মুহুর্তে বইটি প্রকাশিত হওয়ায় তা এ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারনী ব্যক্তিদের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস করি।
প্রধান অতিথি চঞ্চুমনি চাকমা বলেন, মথুরা বিকাশ ত্রিপুরার এই ছড়ার বইটি মাতৃভাষাভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সাহিত্য জগতে দীর্ঘদিন ধরে এক ধরনের বন্ধ্যাত্ব বিরাজ করছে। সৃষ্টি হচ্ছে না সৃজনশীল কোন সাহিত্য। লেখকের এই বই চলমান বন্ধ্যাত্ব কিছুটা হলেও নিরসন করবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.