সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা উৎসব সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে রাঙামাটি পৌরসভা পক্ষ থেকে শুক্রবার পৌর এলাকার ১৪টি পূজামন্ডপকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
রাঙামাটি পৌর সভা কার্যালয়ে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মাধ্যমে অর্থ সহায়তার অর্থ তুলে দেন রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী। এসময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও ত্রিপুরা কল্যান ফাউন্ডেশনের সভাপতি স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এর আহ্বায়ক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বাদল চন্দ্র দে, পূজা উদযাপন পরিষদ এর সদস্য সচিব স্বপন কান্তি মহাজন, সনাতনী নেতা দেবব্রত চৌধুরী কুমকুম, পৌর কাউন্সিলররা। এছাড়া ১৩টি ও বালুখালী ইউনিয়নে ১টি পূজা মন্ডপ ও বিভিন্ন মঠ মন্দিরের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র পৌর এলাকার রিজার্ভ বাজার গীতাশ্রম মন্দিরে ৪হাজার টাকা, তবলছড়ি রক্ষা কালী মন্দিরে ৪হাজার টাকা, জালিয়া পাড়া বিশ্বনাথ মন্দিরে ১০হাজার, ১৬নং টিলা হরি মন্দিরে ১০হাজার টাকা, স্বর্নটিলা দূর্গা মন্দিরে ৪হাজার টাকা, রিজার্ভ বাজার আইচ ভবন মন্দিরে ৪হাজার টাকা, আসামবস্তি শীতলা মন্দিরে ৪হাজার টাকা, পৌর কলোনী নারায়ন মন্দিরে ৪হাজার টাকা, ভেদভেদী কালি মাতৃ মন্দিরে ৪হাজার টাকা, কলেজ গেইট দূর্গা মন্দিরে ৪হাজার টাকা, দক্ষিন কালিন্দীপুর দশভুজা মাতৃ মন্দিরে ৪হাজার টাকা, কাঠালতলী দূর্গা মার্তৃ মন্দিরে ৪হাজার টাকা, গর্জনতলী অখন্ড মন্ডলী মন্দিরে ৪হাজার টাকা ও বালুখালী ইউনিয়নের কেল্লাপাহাড়ের কালী মন্দিরে ৪হাজার টাকা এবং রাঙামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদকে ৫হাজার টাকা নেতৃবৃন্দদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।
এসময় রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, উৎসব সবার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সকল ধর্মের মানুষ যাতে সুষ্ট ও সুন্দরভাবে যার যার ধর্ম ও উৎসব পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি আমাদেরকেউ সম্প্রীতি বজায় রেখে কাজ করে যেতে হবে। আসন্ন দূর্গাউৎসব যাতে সুষ্ঠভাবে পালন করতে পারে সেদিকে প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.