সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরএমপি বলেছেন, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। এ সড়কে ভারী যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত না হলে এখানকার ব্যবসা বানিজ্য ও আত্বসামাজিকসহ ইত্যাদিতে ক্ষতি গুনতে হবে। তাই সড়কের ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে একটি বেইলি ব্রিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আশা করা যাচ্ছে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ভারী যানবাহন করা সম্ভব হবে।
রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ভেঙ্গে যাওয়া স্থান পরিদর্শনকালে সোমবার বিকালে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসনের জন্য যতদিন সময় লাগে তার জন্য সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার অভাব নেই। তাই পূর্নবাসনের জন্য সবকিছুই প্রস্তুত রয়েছে। তবে বৃষ্টি বাদলের কারণে তাদের পাহাড়ের মধ্যে পূর্নবাসনের কাজ সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলের সমস্যা বহু দিনের সমস্যা। এখানে পাহাড় কেটে বন উজাড় করে অবৈধ বসত গড়ে তোলে এ অবস্থা সষ্টি করা হয়েছে। এক সময় সমতল থেকে বাঙালীদের এখানে আনা হয়েছে ভাল। অানা হয়েছে তার বিরুদ্ধে বলছি না। তবে অামার বক্তব্য হচ্ছে তাদেরকে সাময়িক গুচ্ছ গ্রামে রাখা হয়েছে। কিন্তু তাদের ভবিষ্যতের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি বলে রুটি রুচি জন্য এখানে কিছু অবৈধ বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়েছে। অাবার এটিকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী-বাঙালীর মধ্যে একটা বিভেদের সূচনা হয়েছিল। এখানে রাতারাতি করে তার সমাধান করতে পারবো না। তবে অামার বিশ্বাস এই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। অাশা করছি দ্রুত তাদের পূর্নবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবো।
পরির্শনকালে এসময় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সেতুমন্ত্রী সড়ক পথে নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রাম হয়ে রাঙামাটিতে আসেন এবং রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের শালবাগান এলাকায় ভেঙ্গে যাওয়া স্থান পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, গেল ১৩ জুন ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা,মুসলিম পাড়া.শিমুলতলী এলাকা,সাপছড়ি,মগবান,বালুখালী এলাকায় এবং জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। এতে পাহাড় ধসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি শালবাগান স্থানে দেড়শ ফুট ভেঙ্গে যাওয়ায় দীর্ঘ সপ্তাহ ধরে সেনা বাহিনী ও পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য সড়ক চালু করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.