যে কোনো মুহূর্তে পার্বত্য তিন জেলায় নতুন অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন হতে পারে। সংসদে আইন সংশোধনের পরপরই নতুন পরিষদ গঠনের উদ্যোগ চলছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পরই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সূত্র মতে,রাঙামাটির নতুন পরিষদে বর্তমান দায়িত্বরত নিখিল কুমার চাকমা আবারও রাঙামাটির চেয়ারম্যান নিয়োগ পাচ্ছেন। এ প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। রাঙামাটির তৃণমুল থেকে দলীয় নেতাকর্মীসহ ব্যাপক জনগণের স্বত:স্ফূর্ত ও জোরালো সমর্থনের বিষয়টিও সরকার বিবেচনায় নিয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। জানা গেছে, রাঙামাটি জেলার উন্নয়ন ধারা ধরে রাখতে আওয়ামীলীগের তৃণমুল থেকে জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ এলাকার অধিকাংশ জনগণের পক্ষে নিখিল কুমার চাকমাকে চেয়ারম্যান পদে বহাল রাখার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। ওই প্রস্তাবনার আলোকে বিষয়টি বিচেনায় নিয়ে নিখিল কুমার চাকমাকে আবারও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র মতে,নিখিল কুমার চাকমা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় রাঙামাটি জেলার উন্নয়নেসহ বিদেশী দাতা সংস্থা গুলোর কাছেও আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। তার নেতৃত্বে জেলা পরিষদ-ইউএনডিপি সিএইচটিএফের যৌথ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের কার্যক্রম সন্তোষজনক। রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা রাঙামাটির উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,কলেজ, হোষ্টেল নির্মান করে তিনি পার্বত্য মানুষের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার পাশাপশি মাধ্যমিক স্তরে ৭ম শ্রেণীর মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবর্তন করে জেলা শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছেন্। শহরের প্রবেশমুখে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মান ও পানির ফোয়ারা নির্মাণ করে পর্যটন শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন। পার্বত্য প্রতন্ত্য অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য শিক্ষা যোগাযোগ, কৃষি, ক্রীড়াসহ তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যা আগেকার যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জনসমর্থন বেশি রয়েছে। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম যথাযথভাবে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হওয়ায় নিখিল কুমার চাকমা প্রশংসিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, আর্ন্তবর্তীকালীন তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদ বিল সংশোধনের লক্ষে গত ১ জুলাই জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। সর্বশেষ গত ২২ নভেম্বর ১জন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্য করে আর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদ গঠনে বিধান রেখে তিনটি বিল সংশোধিত আকারে জাতীয় সংসদে পাস হয়। বিলগুলো হল রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পষিদ(সংশোধন) বিল-২০১৪, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ(সংশোধন) বিল ২০১৪ ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ(সংশোধন) বিল-২০১৪। এর পর গত ২৭ নভেম্বর মহামান্য রাষ্ট্রপতি পরিষদের তিনটি বিলে সম্মতি জ্ঞাপণ করেন।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.