মঙ্গলবার রাঙামাটিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ ও হোস্টেল ইস্যু শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ-সিএইচটিডিএফ এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত পার্বত্য চট্টগ্রাম মৌলিক শিক্ষা সহায়তাদান প্রকল্পের আয়োজনে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন পরিষদ সদস্য ও শিক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অংসুইপ্রু চৌধুরী, সদস্য বৃষকেতু চাকমা, সদস্য অভিলাষ তংচঙ্গ্যা, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম রিয়াজ উদ্দিন, ইউএনডিপি কর্মকর্তা সুখেশ্বর চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এর শিক্ষা কর্মকর্তা শ্যামল মিত্র চাকমা। মতবিনিময় সভায় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিষদ চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে রাঙামাটির প্রতিটি উপজেলায় আবাসিক হোষ্টেল নির্মাণ করা হবে। হোষ্টেল নির্মাণের ফলে দুর্গম এলাকার অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখার প্রতি আরো উৎসাহী ও মনোযোগি হবে। এর ফলে পার্বত্য এলাকায় ঝড়ে পড়া রোধ ও শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাবে। আবাসিক হোষ্টেলগুলোতে স্কুল হেলথ ক্লিনিকের ডাক্তারদের প্রতি সপ্তাহে একবার ভিজিটের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। তাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশে শিক্ষিতের হার বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নিয়েছে। তার মধ্যে বছরের ১ম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন এবং শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদ পাশের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মান যাচাই করে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তিনি স্কুল পরিচালনা কমিটিকে শিক্ষকদের সঠিকভাবে পরিচালনা করারও তাগিদ দেন। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় স্কুল পরিচালনা কমিটি নিয়ে কর্মশালা আয়োজন করা হবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।
হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.