সোমবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ‘পরিচালনা বোর্ড’ এর ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বছরের তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটিস্থ প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা। সভায় বোর্ডের যুগ্মসচিব ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, উপসচিব সদস্য অর্থ মোঃ জসীম উদ্দিন, সদস্য প্রশাসন মোহাম্মদ মাহবুবউল করিম, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শুভ মঙ্গল চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তংচংগ্যা ছাড়াও খাগড়াছড়ি ইউনিট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুজিবুল আলম, বোর্ডের উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কল্যানময় চাকমা, রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, সিএমইউ জেনারেল ম্যানেজার পিন্টু চাকমা, গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, সাগর পাল প্রশাসনিক কর্মকর্ত, সহকারী পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনতোষ চাকমাা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভার বিগত বোর্ড সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন এবং গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের ২০ মে ২০২৪ পর্যন্ত সময়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া সভায় তুলা চাষ প্রকল্প, কফি ও কাজুবাদাম চাষ প্রকল্প, সুগার ক্রপ প্রকল্প, রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলায় সেচ অবকাঠামো নির্মাণ, খাগড়াছড়ি বিভিন্ন উপজেলায় সেচ ড্রেইন নির্মাণ, বান্দরবান বোয়াংছড়ি-রুমা পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, বান্দরবান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পল্লী অবকাঠামো নির্মাণ, বান্দরবান সাঙ্গু নদী ও সোনাখালের উপর ব্রীজ নির্মাণ, বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভা মাস্টার ড্রেইন নির্মাণ, আইসিটি প্রকল্প, রাবার প্রকল্প, ৪টি আবাসিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন রক্ষা স্কিমের বাস্তব ও আর্থিক বিষয়ে সার্বিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পার্বত্যাঞ্চলে দুর্গম এলাকাগুলো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি পার্বত্যাঞ্চলের শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা সদরে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়–য়া দুর্গম এলাকার ছেলে মেয়েরা যাতে ছাত্রাবাসে অবস্থান করে তাদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য তিন পার্বত্য জেলার ২৬টি উপজেলায় ১টি করে ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হবে। এক্ষেত্রে তিনি তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসক ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান।
সভায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন,তিন পার্বত্য জেলায় ব্রীজ নির্মাণের সময় নান্দনিকতার বিষয়টি বিবেচনা পূর্বক ব্রীজের নক্সা প্রস্তুত ও নির্মাণ করা উচিত যাতে ভ্রমণ পিপাষু দর্শণার্থীরা সেখানে যায়।
বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, পার্বত্য এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কৃষি সেচ ড্রেইন পাম্প হাউস স্থাপনের সময় সোলার প্যানেল স্থাপনের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে যেসব এলাকায় প্রকল্প গ্রহণ করা হবে সেসব এলাকায় স্থানীয় মানুষের চাহিদা অনুয়ায়ী বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা দরকার মর্মে সভায় মতামত প্রদান করেন। তাই এখাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বরাদ্দ রাখার বিষয়ে সভায় প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.